পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ মত আসিতেছে। যাইতেছে,-সে স্রোতের একটুকু বিরাম নাই-আর সঙ্গে সঙ্গে সহস্ৰ সহস্র কণ্ঠে “জয় জগন্নাথজীকি জয় রব” অতি বড় পাষাণ হৃদয়েও ক্ষণিকের জন্য ভক্তির উন্মেষ করিয়া দিতেছে। আমরা মোহনের অভ্যন্তরে আসিয়া প্ৰবেশ করিলাম-সম্মুখে গরুড়স্তম্ভ, জগন্নাথদেবের সম্মুখস্থ গরুড় মূৰ্ত্তিকে নমস্কার করিয়া কৃতাৰ্থ বোধ করিলাম। ইহাতে বিলক্ষণ শিল্প-নৈপুণ্য বিরাজমান। কথিত আছে যে শ্ৰীশ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্ৰভু মন্দিরাভ্যন্তরে গমন করিয়া প্ৰথমে ভক্তির আবেগে সম্মুখস্থ গরুড়স্তম্ভ বেষ্টন করিয়া ধরিয়াছিলেন, গোবিন্দ দাস লিখিয়াছেন,- “?ाझारफुद्ध ठुड् शिशा ॐाकछि क्षशिव्ना । কপাল কাটিয়া রক্ত বহিতে লাগিলা ৷” জগমোহনের মধ্যে একটী ৰেড়া আছে, যাহারা অধিক অর্থব্যয় করিতে পারে না। তাহারা এই বেড়ার বাহির হইতেই অভৗপিসত মহাবিষ্ণুরমূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া থাকে, তাহদের আর দেবতা স্পৰ্শন করিয়া মন-সাধ পূর্ণ হয় না । যাহারা কাঞ্চন-খণ্ড কিঞ্চিৎ বেশী খরচ করে তাহারা মন্দিরের দক্ষিণদ্বারা দিয়া । প্ৰবেশ করে ও রত্নবেদী বা মহাবেদীর সম্মুখে দাড়াইয়া বাঞ্ছাকল্পতরু শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবকে মন প্ৰাণ ভরিয়া দর্শন করতঃ হৃদয় শীতল করে। হায় অর্থ ! জগত সংসার তোমার অধীন, দেব-মন্দিরেও সাম্যভাবের পরিবর্তে বৈষম্যের আদর । এ স্থানে দেবদর্শন উপলক্ষে যাহা প্ৰণামী প্ৰদত্ত হয় তাহা, পাণ্ডামহাপ্রভুগণ নির্নির্ববাদে আত্মসাৎ করিয়া থাকেন, কিন্তু যাহা দক্ষিণা প্ৰদত্ত হয় তাহা মন্দিরের আয় ব্যয়ের হিসাবে জমা হয়। জগন্নাথের মন্দিরের ভিতর দিবালোকেও অন্ধকার, কেবল রত্নবেদীর দুই পার্শ্বে দুইটী প্ৰদীপ জ্বলে, সেজন্যই অনেক ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি সহসা আলোক হইতে মন্দিরে প্রবেশ করিয়া শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবের মূৰ্ত্তি সুস্পষ্ট দেখিতে পায় না। যে রত্নবেদীর উপরে জগন্নাথদেব প্ৰভৃতি অধিষ্ঠিত আছেন, উহা দৈর্ঘ্যে ১৬ ফিট ও উদ্ধে ৪ ফিট । কথিত আছে যে ইহার মধ্যে লক্ষ শালগ্ৰাম শিলা প্ৰতিষ্ঠিত আছে। এই জন্য স্বয়ং দারুব্রহ্ম মূৰ্ত্তি হইতেও ইহার মাহাত্ম্য বেশী, কারণ ইহা মহাবেদী বা 888 . . . . . . . রত্নবের্দী ।