পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বার লাভ করিয়াছেন তিনি জীবনে তাহা কখনাে ভুলিতে পারিবেন না। ’ বৰ্ত্তমান শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ইহার বহু শিষ্য সেবক আছে। বিজয় । গোস্বামীর সমাধিটিও অবশ্য দ্রষ্টব্য । * আরাধের ধ্যান করিতেন, এই মহাত্মার উদার ও স্নেহ ব্যবহার যিনি এক | ইন্দ্ৰদ্যুম্ব সরোবর । নরেন্দ্র সরোবর দেখিয়া আমরা ইন্দ্ৰদ্যুম্ন সরোবর দেখিতে গমন। করিলাম। বালুকপূৰ্ণ পথে যাতায়াত করা বড়ই কষ্টকর। নগরের এক | বিরল বসতি অংশে সরোবরটি অবস্থিত। ইহা শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবের মন্দির ৷ হইতে প্রায় দুই মাইল দূর। ইহার উৎপত্তি সম্বন্ধে দুই প্রকার মত শুনিতে । পাওয়া যায়। নারদ ও ব্ৰহ্ম পুরাণের মতে এই তীর্থ ইন্দ্ৰদ্যুম্বের যজ্ঞ । হইতে উৎপন্ন হইয়াছে ৷ উৎকল খণ্ডে লিখিত আছে যে রাজা ইন্দ্ৰদ্যুঙ্গ। যজ্ঞের দক্ষিণস্বরূপ ব্ৰাহ্মণগণকে যে সকল গাভী দান করিয়াছিলেন সে । সকলের খুরাগ্র হইতে যে গৰ্ত্ত হইয়াছিল। তাহা হইতেই ইহার উৎপত্তি। পুরাণের মত এই যে এ স্থানে অবগাহন করিলে অশ্বমেধের ফল হয় এজন্য। ইহার অপর নাম অশ্বমেধ গঙ্গা। সরোবরের চারিদিক প্রস্তর দিয়া বঁধান, : ইহা দৈর্ঘ্যে ৪৮৬ ফিট এবং প্রস্থে ৩৯৬ ফিট । এই সরোবর মধ্যে অনেক বড় বড় কচ্ছপ আছে, এ সম্বন্ধে প্রবাদ আছে যে মহারাজা ইন্দ্ৰদ্যুম্ন তাহার | ংশ থাকিলে পাছে ধৰ্ম্ম লোপ হয় এ নিমিত্ত জগন্নাথদেবের নিকট বংশ- তৃ নাশের জন্য বর প্রার্থনা করেন, তাহারি বরে ইন্দ্ৰদ্যুম্বের পুত্ৰগণ সরোবর | মধ্যে কচ্ছপরূপে বাস করিতেছে। দেখিলাম যে পাণ্ডাদের চীৎকারে এ সকল : কুৰ্ম্মাবতারগণ সমবেত হইয়া যাত্ৰিগণ প্রদত্ত খই, মুড়কী ইত্যাদি নির্ভয় চিত্তে । আহার করিতে প্ৰবৃত্ত হইল। এই সরোবরের দক্ষিণ কুলে নৃসিংহ ও পশ্চিম তটে নীলকণ্ঠের মন্দির আছে, ইন্দ্ৰদ্যুম্ন সরোবরে স্নান করিয়া এই মূৰ্ত্তিদ্বয়ের . পূজা করিলে অশেষ পুণ্য সঞ্চয় হয়। ইহা কপিল সংহিতার মত। শ্ৰীক্ষেত্রের যে প্রধান অষ্টলিঙ্গ আছে তাহার মধ্যে নীলকণ্ঠের একটী । এই লিঙ্গ দুইটী অত্যন্ত প্ৰাচীন হইলেও মন্দিরটি অধিক প্রাচীন বলিয়া বোধ হইল না । উৎকল খণ্ডে অষ্টলিঙ্গ সম্বন্ধে লিখিত আছে যে- “