পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

༢་” “. ، " .. ،۶ . نه i .غة পুরী बाँ ኳ অনেক সময় এখানে থাকিতেন। তাহার অন্তৰ্দ্ধান সম্বন্ধে একটী কবিতা । শুনিতে পাওয়া যায়— । . “কি করিব, কোথা যাব, বাক্য নাহি সরে। গোরাচাদে হারাইনু গোপীনাথের ঘরে ॥” . . . . পুরীতে নানা সম্প্রদায়ের বহু মঠ আছে। কেহ কেহ ৭৫২টা। পৰ্যন্ত । গণনা করিয়াছেন। এ সমুদয় মঠের মধ্যে চৈতন্তের মঠ, . বিদূরপুরী বা মূলকদাসের মঠ, সুদামাপুরী বা পাতাল । গঙ্গার নিকট নানকসাহী মঠ প্ৰভৃতি প্ৰধান । শঙ্কর মঠে বহু । বৈদান্তিক F গ্ৰন্থ আছে। আঠার নালা সেতুটি পুরী সহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত । পুরীর বড় রাস্তা ধরিয়া বরাবর গমন করিলে প্রথমেই আঠার নালার সেতু । আমার নালার সম্মুখে পড়ে। এই সেতুর নিৰ্ম্মাণ সম্বন্ধে নানাপ্রকার সেতু । জন প্ৰবাদ শুনিতে পাওয়া যায়। (১) কেহ কেহ বলেন যে রাজা মৎস্যকেশরী মুটিয়া নামক নদী পারাপারের সুবিধার নিমিত্ত এই সেতুটি প্রস্তুত করাইয়াছিলেন। আঠারটি ফোকর আছে বলিয়া ইহার নাম । আঠার নালা হইয়াছে। (গ) এই সেতুর নিৰ্ম্মাণ সম্বন্ধে আর একটী গল্প এই বে রাজা ইন্দ্ৰদ্যুম্ন এই মুটিয়া বা মধুপুর নদীর খরস্রোতের জন্য পুনঃ পুনঃ , সেতু নিৰ্ম্মাণ করিতে অসমর্থ হইয়া স্বীয় অষ্টাদশ পুত্ৰকে বলিদান করিয়া । দেবীর সন্তোষ বিধান করতঃ এই অষ্টাদশটী খিলান যুক্ত সেতু নিৰ্ম্মাণ করেন। (৩) বৈষ্ণবগণ বলেন যে চৈতন্যদেব এ স্থানে অ্যাসিয়া নদী পার হইতে না পারায় শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেব তাহার পার হইবার সুবিধার জন্য এক রাত্রির মধ্যে এই সেতু বিশ্বকৰ্ম্মার দ্বারা প্ৰস্তুত করাইয়া দেন। কোন সময়ে যে এই আঠার নালা প্ৰস্তুত হইয়াছে তাহ এ পৰ্য্যন্ত কেহই স্থির করিতে । পারেন নাই । এই নালা বা সেতুটি দৈর্ঘ্যে প্ৰায় ২০০ দুইশত হস্ত, এবং ১৮টি বিস্তৃত খিলানের উপর স্থাপিত। রক্ত-প্রস্তর বিনিৰ্ম্মিত ১৯ উনিশটীি সুবৃহৎ স্তন্তু খিলানগুলির ভার বহন করিতেছে। সাধারণতঃ পুরাতত্ত্ববিদগণের মত এই যে ১০৩৮ হইতে ১০৫০ খ্ৰীষ্টাব্দের মধ্যে পুৱী গমনাগমনের সুবিধার জন্য রাজা মৎস্তকেশরী ইহা নিৰ্ম্মাণ করেন। তাহা হইলেও ইহা প্ৰায় ৯০০ নয় শত বৎসরের প্রাচীন, কিন্তু ইহার নিৰ্ম্মাণ কৌশল এতই সুন্দর। 苑山