পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - - Yo -, .

if is . . . . .

পাইব না ? একেকটি মূৰ্ত্তি দেখিলে বোধ হয় যেন তাহারা অনেক ভাবিয়া চিন্তিয় তাহ অঙ্কিত করিয়াছে ! প্ৰতি লতা পাতার মধ্যে--প্ৰতিমূৰ্ত্তির বদন মণ্ডলেও দেহ ভঙ্গীতে একটুকুও অস্বাভাবিক কিংবা উৎকট কল্পনার বীভৎস চিত্ৰ নাই, প্ৰত্যেকটি সুন্দর-প্ৰত্যেকটি মনোরম-প্ৰত্যেকটি কবিতা, প্ৰত্যেকটি নীরব ভাষায় প্রকৃত সত্য ব্যক্ত প্ৰয়াসী। - বর্তমান সময়ে জগমোহন চাঁদনিটি অভগ্নাবস্থায় দণ্ডায়মান থাকিলেও ইহার অভ্যন্তরের অংশ অনেক স্থলে বিকৃত ও ভগ্ন হইয়াছে। একপ্রকার পাটকিলে রংয়ের পাথরে নিৰ্ম্মিত বলিয়া ইহা হইতে গাঢ় কৃষ্ণবর্ণ ছায়া পতিত হয় এবং সে নিমিত্তেই ইহাকে ব্ল্যাক প্যাগোডা বা কৃষ্ণমন্দির কহে । এই মন্দিরের নিম্মাণ কৌশল অতি সুন্দর ; নীচ হইতে প্ৰায় ৪০ ফুট পৰ্য্যন্ত উদ্ধে উঠিয়া ক্রমশঃই ইহার অগ্রভাগ সূক্ষ্য হইতে সূক্ষমতার হইয়া ২০ ফুটে পরিণত হইয়াছে, আবার এই ২০ ফুটের উপরস্থিত প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত ছাদ লৌহ থাম দ্বারা সংরক্ষিত। এ স্থানের গ্রামা অধিবাসিগণ বলিয়া থাকে যে পূর্বের্ণ এই মন্দিরের চূড়ায় কুম্ভর প্রস্তর নামক একখানি প্ৰকাণ্ড প্রস্তর ছিল— এই প্ৰকাণ্ড প্ৰস্তারের আকমণী শক্তি প্ৰভাবে বহু অর্ণবযান এস্থানে ঠেকিয়া বিপৰ্য্যস্ত হইয়া গিয়াছে । কথিত আছে যে একজন মুসলমান ঘটনাক্রমে এস্থানে আসিয়া মন্দির ধ্বংস করিয়া সেই অত্যাশ্চৰ্য্যা প্ৰস্তর লইয়া যায় । এই দুৰ্ঘটনার পরে পাণ্ডারা এই পুণ্য ভূমি পরিত্যাগ করতঃ দেবমূৰ্ত্তি সহ পুরীতে গমন করেন।--তদবধি পুরীর সূর্যামন্দিরে সেই দেবপ্রতিমা বিরাজিত আছেন। মহারাষ্টীয়গণও এখান হইতে মন্দিরের প্রাচীর ইত্যাদি ভগ্ন করতঃ শ্ৰীক্ষেত্রের কতকগুলি দেবমন্দির নিম্মাণ করিয়াছিল। নানারূপে কানারকক্ষেত্রের বহু অনিষ্ট সাধিত হইয়াছে । বৰ্ত্তমান সময়ে এস্থানে কেবল প্রাচীনের ধ্বংসাবশেষ ব্যতীত আর কিছুই নাই। মন্দিরের পূর্বদ্বারের উপরে ক্লোরাইট প্রস্তরের উপরে যে নবগ্ৰহাদির খোদিত মূৰ্ত্তি দ্বারা উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের উৎপত্তির বিষয় অঙ্কিত আছে, সেই প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত বিশালস্তম্ভ সমুদ্রপথে ইংরেজ পুরাতত্ত্ববিদগণ কর্তৃক কলিকাতার চিত্ৰশালিকা বা মিউজিয়মে আনিবার চেষ্টা হইয়াছিল, এবং প্ৰায় দুইশত গজ খনন করার পর এই অসাধ্য সাধনায় ক্ষাৰম্ভ হইতে বাধ্য হ’ন -এ বিষয়ে হাণ্টার সাহেব 86)