পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সনাক্ষীগোপাল ৷ প্ৰe>ারী তীর্থে যাহারা গমন করিয়াছেন তঁহাদের মধ্যে এমন লোক অতি বিরল যিনি সাক্ষীগোপাল দেবকে দর্শন করিয়া আসেন নাই। কানারক হইতে পুরী রাত্রিতে পহুছিয়া পরদিবস সারাদিন সেখানে বিশ্রাম করিয়া— সন্ধ্যার অব্যবহিত পরে পুরী হইতে কলিকাতাগামী যাত্রী গাড়ীতে সাক্ষীগোপাল দর্শনোদেশে যাত্ৰা করিলাম। যাত্ৰিগণের “জয় জগন্নাথজী কি জয়” রবে ষ্টেসন প্রাঙ্গণ বিকম্পিত করিয়া আমাদের গাড়ী পুরী পরিত্যাগ করিল -- গাড়ীর জানাল দিয়া শেষবারের মত জ্যোৎসা বিধৌত অনন্ত সাগরের নীলোৰ্ম্মিমালার উচ্ছ স্থল নৰ্ত্তন ছায়ার মত দেখিয়া লইলাম । পুরী হইতে প্ৰায় দশ মাইল দূরে সত্যবাদী নামক গ্রামে সাক্ষীগোপালের মন্দির বিরাজিত । এক ঘণ্টার মধ্যেই আমরা সাক্ষীগোপাল স্টেসনে পহুছিলাম।— ষ্টেসন হইতে প্ৰায় একপোয় পথ দূরে সাক্ষাগোপালের বা সত্যবাদী গোপালের মন্দির। রজনী জোৎস্নময়ী ; কাজেই আমরা প্ৰফুল্ল চিত্তে পদব্ৰজেই মন্দিরাভিমুখে অগ্রসর হইতে লাগিলাম। স্টেসনে অনেক গো-যান মিলে, কাজেই স্ত্রীলোক সঙ্গে থাকিলে তঁাতাদের জন্য গো-যানেরও বন্দোবস্ত হইতে পারে। আমাদের নিকট এই গ্রামা পথে অগ্রসর হইতে বডই আনন্দ বোধ হইতেছিল, রাস্তার উভয় পার্শ্বে ফলপুর্ণ নারিকেল বৃক্ষশ্রেণী, কোথাও বা গৃহস্থে ব বাড়ীর নিকটস্থ পুকুরের কালো জলে জোছনা ঢল ঢল করিতেছে-কোথাও বা মুদঙ্গের সুমধুর নিনাদে কীৰ্ত্তন হইতেছে—গাছের আড়াল দিয়া কোনও কটরের প্রদীপ-বাশ্মি যেখানে গাছের ছায়া একটু বেশী ঘোরালো, যেখানে জোছনা নিজেকে ভালরূপে বিকাশ করিতে পারে নাই, সেইরূপ আধমান অন্ধকারময় স্থানে উজ্জ্বল মণির মত বিকশিত করিয়া জানি না কোন দূরাগত পান্থকে আহবান করিতেছে ! আমরা গল্প করিতে করিতে চলিয়াছি তাহার আদিও নাই শেষও নাইকত দেশের কত যাত্রী যাইতেছে -আমরাও কাহারও দিকে লক্ষা করি না তাহারাও আমাদিগকে লক্ষ্য করিতেছে না। অগ্রে ও পশ্চাতে গরুর 866