পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনেশ্বর বা একাম্রকানন । nummumunumnummummummumus ১১০০ ফিট এবং ইহার গভীরতা গড়ে প্রায় ১৬ ফিট । পূর্বে ইহার চতুর্দিক লেটারাইট প্রস্তর দিয়া বাঁধান ছিল, বৰ্ত্তমান সময়ে উত্তরদিকের গাথুনি একেবারেই নষ্ট হইয়া গিয়াছে, পূর্ণ ও পশ্চিমদিকের {ंगां’नांतव्ली অনেকাংশে নষ্ট হইয়া গেলেও চলাচলের অনুপযুক্ত হয় নাই। পূর্বদিকের ঘাটকে মণিকর্ণিকার ঘাট কহে, এখানেই গন্ধ মালিন স্নানান্তে পিতৃপুরুষগণের তর্পণাদি করিয়া থাকেন। উৎকলের প্রথানুযায়ী এই সরোবরের YY suDuD SDBB BBS DBDD BB 0 BB D DD DDD দ্বীপের মধ্যে কয়েকটি দেবমন্দির আছে, পৰ্দাদি উপলক্ষে সেস্থানে ভুবনেশ্বরের যাত্রা হয়- কিন্তু মন্দিরগুলির এ পর্যােন্ত বিশেষ কোনও नश्राद्ध नथिङ হয় নাই । বিন্দুসরোবরের নীচে কয়েকটি প্রস্রবন আছে উহ। হইতেই সরোবরে জল সঞ্চিত হয় জলের রং সবুজ বর্ণ। এই হ্রদের মধ্যে নৌকারোহণে বিচরণ করিতে বড়ই তৃপ্তিকর। --সরোবর বক্ষ হইতে মন্দির সমুহের সৌন্দৰ্য্য বড়ই মনোরম দেখায়। এই নিজজন প্রদেশে মনে হয় যেন মুক্তিমতী শান্তিদেবী বিরাজমানা রহিয়াছেন—কি শান্ত, কি নিজজন- এখানে নগরের কল-কোলাহল নাই, সংসারের যন্ত্রণা বেদন নাই-ধূলি ধূসরিত রাজপথের উশৃঙ্খলতায় পথিককে এখানে ব্যস্ত হইতে হয় না। কেবল সৌন্দৰ্য্য- কেবল শান্তি । চারিদিকে ছায়া নিবিড় বিটপীপুঞ্জ সমলকৃত পথ,--আর নয়ন সমক্ষে প্রাচীনের কারুকাৰ্য্য সম্পন্ন মন্দির গুলি,--মুহূৰ্ত্ত মধ্যেই তোমাকে সুদূর অতীতের মহিমাময় ভাস্কারবিদ্যার কবিত্ববৈভবময় সৌন্দৰ্য্য মধ্যে নিমজ্জিত করিয়া ফেলিবে । সত্য সত্যই এখানে আসিলে অপূৰ্ণ হৃদয়পূর্ণ হয়,- শোক-ক্লিষ্ট ব্যথিত প্রাণ ও শান্তিলাভ করে। বাঙ্গালা ভূমির কিরীটিমণি মহাপ্ৰভু শ্ৰীকৃষ্ণ চৈতন্য ও এই বিন্দু সরোবরে অবগাহন করিয়াছিলেন ; তঁাহার প্ৰিয়তম ভক্ত বৃন্দাবন দাস লিখিয়াছেন :- “সৰ্ণবতাৰ্থ জলে যথা বিন্দু বিন্দু আনি । বিন্দুসরোবর শিব সৃজিলা। আপনি ৷ শিব প্ৰিয় সরোবর জানি শ্ৰীচৈতন্য । সুদান করি বিশেষে করিল অতি ধন্য ।” 8