পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনেশ্বর বা একামিকানন। হয়। ভুবনেশ্বরে ও তেমনি বৈশাখ মাসে চন্দন যাত্ৰা তয়-বিন্দু সরোবর মধ্যস্থ দ্বীপের মধ্যে যে দে লালয় আছে সে স্থানে প্রতিনিধি চন্দ্ৰশেখর মূৰ্ত্তি দ্বাবিংশতি দিবস অবস্থিতি করেন এবং বিশেষ সমারোতের সহিত তঁহার অৰ্চনা হয়। এই বিষয়টি একটু লক্ষা করা আবশ্যক যে ভুবনেশ্বর মহাদেবের প্রতিরূপ হইলেও তাঁহার পূজা ইত্যাদি সমুদয়ই শ্ৰীক্ষেত্রের জগন্নাথদেবের অনুকরণে সম্পাদিত হয়। ভুবনেশ্বর মন্দিরের উচ্চতা প্ৰায় ২০০ শত ফিট হইবে । এই মন্দির গাত্রে ও অশ্লীল ছবি আছে বটে। কিন্তু তাহা সংখ্যায় অল্প ও পরীর শ্ৰীমন্দিরের ন্যায়। তােত কদৰ্য নহে । এ স্থানের সমস্ত মূৰ্ত্তিই প্রস্তর কাটিয়া নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছে। --মন্দিরের এই প্ৰস্তরময় গাত্রে যে কত সামাজিক জীবনের বিবিধ ঘটনাবলী, কত রীতি নীতি, কত শৌৰ্য নীর্গোর চি লৈ খোদিত থাকিয়া প্ৰাচীন ভারতের প্রাচীন কাহিনীর সাক্ষা দিতেছে তাহা কে নির্ণয় করে ? ভবনেশুরের মন্দিরের বাহিরে এক প্ৰান্তে একটা প্ৰকাণ্ড প্ৰস্ম বা নিৰ্ম্মিত র্যাড় অাছে ইহাকে ভুবনেশ্বরের বাহন কহে । এই বুষেব পাশে নীল- প্ৰস্ত ব-খোদিত লক্ষী নারায়ণের মূৰ্ত্তি । ভুবনেশ্বরের মন্দিরের পাৰ্ম্মে ঈ “গোপালিনীর” মন্দির। গোপালিনী পার্লাভী : ইনি গোপীবেশধারিনী হইয়া এ কামকাননে গোচারণ করিতেন এবং এ স্থানেই ত্ৰিভূবনেশ্বরের দর্শন পাইয়া ঠাঙ্গার পূজা করিয়াছিলেন। গোপালিনী মন্দিরের নিকটে অপর একটি মন্দিরে গণেশ ও কাৰ্ত্তিকেয়ের মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত আছে। হেরম্বের সুবিশাল কৃষ্ণ প্রস্তর নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তিটির গঠন নৈপুণা বিশেষ নয়নানন্দদায়ক । ভুবনেশ্বরের সুবিস্তৃত প্রাঙ্গণের চারিদিকেই বহু ক্ষুদ্র ও বৃহৎ মন্দির আছে। এ সমৃদয় মন্দির ও প্রাঙ্গণ ৷ উচ্চ ল্যাটারাইট প্রস্তর দ্বারা নিৰ্ম্মিত ও প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত। প্রাঙ্গণ মধ্যে যে সকল ক্ষুদ্র ও বৃহৎ মন্দিরের কথা উল্লেখ করিলাম তাহাদের মধ্যে কতকগুলির অবস্থা নিতান্ত শোচনীয় । এ স্থানে যতগু. মন্দির আছে তন্মধ্যে পাৰ্বতীর মন্দির আকারে ভুবনেশ্বরের মন্দির অপেক্ষা ছোট হইলেও কারুকাৰ্য্যে ইহা ভুবনেশ্বরের বৃহৎ মন্দির অপেক্ষা বহু পরিমাণে শ্ৰেষ্ঠ। এই মন্দির গাত্রে যে সকল সুন্দর সুন্দর প্রস্তর খোদিত নরনারী ও ইত্যর \e 849 ोंकडोद्ध मन्द्रि ।