পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sets-tais বন্ধা রমণীরও বন্ধ্যা দোষ বিনষ্ট হইয়া সন্তান সম্ভবা হয়। লোকের এইরূপ সংস্কার থাকায় পূর্বে পাণ্ডাগণ এই কুণ্ডের জল যাত্ৰিগণের নিকট বিক্রয় কিরিত, কিন্তু গভৰ্মেন্টের আদেশে এখন এই প্রকারের জল বিক্রয় নিষিদ্ধ হইয়াছে। গৌরীকুণ্ডের নিকটেই কেদারেশ্বরের মন্দির। মন্দিরের সন্নিকটে হনুমান ও সিংহবাহিনী দুর্গামূৰ্ত্তি । ইহার পাশ্বেই সিদ্ধেশ্বরের মন্দির, কিন্তু ইহা প্ৰাচীন হইলেও এখানকার পরশুরামেশ্বরের মন্দিরই ভুবনেশ্বরের সমুদয় মন্দির হইতে প্ৰাচীন বলিয়া প্রত্নতত্ত্ববিদ পণ্ডিতগণ নির্ণয় করিয়াছেন। ইহার উচ্চতা ৩৮ ফিট হইবে। এই মন্দির গাত্রেও হস্তী, অশ্ব, পৰশুৰামেশ্বর প্রভৃতির চিত্র শ্রেণীবদ্ধ ভাবে অঙ্কিত আছে। রঘুকুলতিলক মন্দির । শ্ৰী রামচন্দ্রের জীবন সংক্রান্ত কয়েকটি মনোজ্ঞ চিত্ৰও এস্থানে খোদিত দেখিলাম। দক্ষিণদিকের দরোজার নিকট প্রাচীন কুটিলা অক্ষরে একটী খোদিত লিপি দৃষ্ট হয় - উহার মাত্ৰ চারিটাি লাইন। এই খোদিত লিপি পাঠে জানা যায় যে জনৈক কলিঙ্গ রাজা কর্তৃক ইহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । ফাগুসন সাহেব এই মন্দির সম্বন্ধে লিখিয়াছেন, — ‘‘It may, however, be that is this is really the oldest temple of its class in Orissa, its design may be copied from a foreign example, and borrowed, with all its peculiarties, from a style practised elsewhere." 48 মন্দিরের অন্যান্য দেবমনিদর হইতে বিশেষত্ব এই যে ইহার প্রবেশদ্বারের চাদনির উপরে সম্মুখদিকে ছয়টা এবং পার্শ্বভাগে দ্বাদশটী জানালা আছে, ইহা দ্বারা সূর্যের আলো প্ৰবেশ করিতে পারে—কিন্তু বৃষ্টি ইত্যাদিতে কোনও রূপ ক্ষতি হয় না।-- বেতাল দেউল ব্যতীত অন্য কোনও মন্দিরেই এইরূপ জানালা নাই। : ভুবনেশ্বরের মন্দিরের প্রায় অৰ্দ্ধক্রোশ দূরে কপিলেশ্বরের মন্দিরে কপিলেশ্বর মহাদেব বিরাজিত আছেন। পূর্বে এই গ্ৰাম অত্যন্ত সমৃদ্ধিশালী ছিল । মন্দিরের গঠন প্ৰণালী ইত্যাদি সমুদয়ই ভুবনেশ্বর ও অন্যান্য দেবমন্দিরের ন্যায়। ভুবনেশ্বর হইতে কপিলেশ্বর পর্য্যন্ত যে পথ গিয়াছে পুর্বে এই পথের উভয় পাশ্বে শ্রেণীবদ্ধ বিপণি সমূহ ও সুন্দর সুন্দর দেবমন্দির বিরাজমান ছিল অদ্যাবধি তাহাদের কপিলেশ্বর। 8૧”