পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । সে যে শয়নে স্বপনে তোমাকেই ধ্রুবতারা জ্ঞান করিত । হায় ! কঠোরহাদয়, সমুদয় ভুলিলে ? ঐ দেখ সোণার শিশু হাসিমুখে নিদ্রামগ্ন, একবার কি এই স্বৰ্গীয় কুসুমটিকে বক্ষে তুলিয়া লইতেও হৃদয় কঁাপিল না ? কেমন করিয়া পদদ্বয় অগ্রসর হইল ? বৃদ্ধ পিতা শুদ্ধোদন, —পুত্ৰগত প্ৰাণ শুদ্ধোদন—একমাত্র আশা-—একমাত্র অবলম্বন তুমি, বড় আশায় সে যে দিন কাটাইতেছিল, এই কি তঁাহার অগাধ স্নেহের প্রতিদান ? হায় ! স্নেহ-শালিনী জননী—তাঁহাকেও ভুলিলে ? ধন্য তুমি, ধন্য ভারতমাতা, তাই এমন ত্যাগী রাজসন্ন্যাসীকে বক্ষে ধারণ করিতে পারিয়াছিলে । পাঠক ! আই দেখ, নীরব নিশীথে ত্যাগী সন্ন্যাসী জগতের মায়ার বন্ধন ছেদন করিয়া, মানবের হিতার্থ আত্মসুখে জলাঞ্জলি দিলেন । আমি ভাবিতেছিলাম, আত্ম-বিস্মৃত হইয়া, মনের মধ্যে কেবল জাগিতেছিল, ত্যাগী পুরুষের অলৌকিক জীবনের সার্থকতা। স্বৰ্গপুর গুম্ফার পাশে ই এই ক্ষুদ্র গুম্ফা দুইটি অবস্থিত । বিশেষত্ব কিছুই নাই, তবে এই গুম্ফার মধ্যে একটী বোধিবৃক্ষ । ও তাহার দুইদিকে দুইটি ধানপরায়ণ মূৰ্ত্তি স্থাপিত রহিয়াছে। স্বৰ্গপুর গুস্ফার ও জয়াবিজয়া গুম্ফার নিকটে মাণিকপুর, বৈকুণ্ড), পাতালপুর, যমপুর, মৰ্ত্ত্যলোক, দ্বারকাপুর প্রভৃতি বহুতর গুস্ফা বিরাজিত রহিয়াছে। এ সমুদয়ের বিস্তৃত বিবরণ নিম্প্রয়োজন । ইহাদের মধ্যে বৈকুণ্ঠপুর গুস্ফার ও যমপুর-গুম্ফার নাম উল্লেখযোগ্য বিবেচনা করি। রাণী নুরগুম্ফার মত বৈকুণ্ঠপুর-গুম্ফাও দ্বিতল, ইহার উপরাংশের নাম বৈকুণ্ঠ ও নিম্নাংশের নাম পাতালপুর, পাতালপুরের সন্নিকটে যমপুরগুম্ফার ভগ্নাবশেষ বিদ্যমান রহিয়াছে। বৈকুণ্ঠপুর-গুম্ফার উপরে পালি ভাষায় লিখিত খোদিতলিপির অর্থ প্রিন্সেপ (Princep) সাহেব এইরূপ করিয়াছেন, “ভিক্ষুগণের মঙ্গলাশীর্দাদে কলিঙ্গ-নৃপতিবৃন্দ এই গুম্ফা সকল প্ৰস্তুত করিয়াছেন ৷” । পর্বতের উচ্চতম প্রদেশে হস্তিগুম্ফা নামক একটা বড় রকমের গুম্ফা আছে, ইহা পৰ্বতের একটি স্বাভাবিক গুহাকে কাঢ়িয়া বড় করা হইয়াছে ; ऊद्मा-दिछद्मा ९४मा । বৈকুণ্ঠপুর গুশকা । 8SV'