পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSSSS তেনদিন রাত্রির গাড়ীতেই ভুবনেশ্বর হইতে কটক আসিলাম । কটক অতি প্ৰাচীন সহর। যেস্থানে বিপুলকায়া মহানদী ও কাঠজুড়ি দ্বিধারা হইয়া দ্বীপাকারে বিভক্ত হইয়া গিয়াছে—সেই স্থানে এই নদী দুইটির কটকের প্রাচীন সঙ্গমস্থলে বিখ্যাত কটক নগর অবস্থিত। কেশরী বংশীয় ইতিহাস। রাজা নৃপতি কেশরীর রাজত্ব সময়ে (৯৪০–৯৫০ খ্ৰীষ্টাব্দ) ভুবনেশ্বর হইতে রাজধানী স্থানান্তরিত হইয়া কটক নগর প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু কাহারও কাহারও মতে কটক ইহা অপেক্ষাও প্ৰাচীন। খ্ৰীষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে ভবগুপ্ত কটকে রাজত্ব করেন, তাহার অনুশাসন পত্রেও কটকের নাম দেখিতে পাওয়া যায়। ইহাতে বোধ হয় যে এই নরপতির রাজত্ব সময়েও কটক নগরের অস্তিত্ব ছিল । বর্তমান কটক নগরের তিন মাইল দূরে চৌদ্বার নামক একটী গ্রাম আছে তাহাকে জনসাধারণ কটক চৌদ্বার নামে অভিহিত করিয়া থাকে। উৎকল পঞ্জীপাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে রাজা জন্মেজয়ের সপযজ্ঞের সময় এই নগর সংস্থাপিত হইয়াছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ অনুমান করেন যে ভবগুপ্তের অনুশাসনোক্ত কটকচৌদ্বারই হইবে । পূর্বে যে এস্থান সমৃদ্ধিশালী ছিল, তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। এই প্ৰাচীন নগরের নিকট গঙ্গাবংশীয় মহারাজা চোর গঙ্গার সময়ের নিৰ্ম্মিত কপালেশ্বর নামক একটা দুর্গ জীৰ্ণদেহে বিরাজমান থাকিয়া প্ৰাচীন ইতিহাসের সাক্ষ্য দিতেছে। রাজা চোরগঙ্গা এই দুর্গ মধ্যে একটী বৃহদাকারের সরোবর খনন করাইয়াছিলেন—সেই জলাশয়কে এখনও স্থানীয় অধিবাসীবর্গ চােরগঙ্গার পুকুর কহিয়া থাকে। পূর্বে। প্রতি বৎসরই মহানদী ও কাঠজুড়ির জলপ্লাবনে কটক নগরবাসী ব্যক্তিবর্গের বিশেষ দুৰ্দশাগ্ৰস্ত হইতে হইত। এই বন্যার আক্রমণ হইতে নগর সুরক্ষিত করিবার জন্য ৯৫৫৷৷৯৫৬ খ্ৰীষ্টাব্দে কেশরী বংশোদ্ভব মহারাজা মকর কেশরী কাঠজুড়ি, মহানদীর নিকট হইতে যে স্থানে 8