পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । তুলসীপুর নামক পল্লীই কটকের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং স্বাস্থ্যপ্ৰদ । তুলসীপুর, রাজার এস্থানে বড় বড় রাজকৰ্ম্মচারীবৃন্দ, জমিদার এবং ওড়িষ্যার :::::: কমিশনার বাস করিয়া থাকেন। পল্লীটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ইত্যাদি। এবং সুদৃশ্য। কটকে বাজারের সংখ্যা খুব বেশী, তন্মধ্যে বালু বাজার, বক্সি বাজার, নয়-সড়ক বাজার, তৈলঙ্গ-বাজার এবং বাখরাবাদ প্রভৃতিই উল্লেখযোগ্য। এস্থানে প্ৰাচীন হিন্দুমন্দিরের মধ্যে গোপালজী, রঘুনাথজী এবং কটক-চণ্ডীর মন্দিরই বিখ্যাত। কটক-চণ্ডী-কটকের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা। মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের শাসন সময়ে ইনি দুৰ্গমধ্যে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই তিনটি হিন্দুদেবমন্দির ব্যতীত শঙ্করাচাৰ্য্যের মঠ, শিখদের মঠ, বৈষ্ণবদের মঠ, জৈন-মন্দির প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মশাখার বহু মঠ আছে, প্ৰত্যেক মঠেই বহু সাধু সন্ন্যাসী এবং বিগ্ৰহাদি আছে। মহারাষ্টীয়দের রাজত্ব সময়ে তাহারা এ স্থানে যে দুর্গ এবং অশ্বশালা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল তাহা এখনও আছে । অশ্মশালার ছাদ খিলান করা এবং স্তম্ভের উপর স্থাপিত, ইহাতে কড়ি বর্গার কোনওরূপ সংস্রব নাই, বৰ্ত্তমান সময়ে এই অশ্বশালায় রিজার্ভ পুলিশগণ বাস করে। কটকের শিল্পকাৰ্য্য বিশেষ বিখ্যাত। এখানে স্বর্ণ ও রৌপ্যের উপরে অতি সুন্দর। কাৰ্য্য করা হয়,- সে নিমিত্তও ইহা বিশেষ বিখ্যাত । হস্তিদন্ত নিৰ্ম্মিত বিবিধ দ্রব্যাদিও বহুপরিমাণে নিৰ্ম্মিত হয়। কটকের অনতিদূরে বাড়ম্বা ও তিগড়িয়া নামক স্থানের প্রস্তুত রেশমী ধূতি, উড়ানি, সাটি এবং মানিয়াবন্দী বস্ত্ৰ কটকে প্রচুর পরিমাণে বিক্রয় হয়। এখানকার কাঠের কাৰ্য্যও বেশ সুন্দর। কটক সহরে মুসলমানদের একটা বৃহৎ মসজিদ এবং খ্ৰীষ্টানদের তিনটী গিৰ্জা এবং একটি অনাথাশ্রম আছে। কটক সহরে অনেক বাঙ্গালী বাস করেন, আবার অনেকে স্বাস্থ্য লাভার্থও আগমন করিয়া থাকেন। বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে কোম্পানীর কৃপায় এখন আর কটক আসিতে কোনওরূপ কষ্ট সহ্য করিতে হয় না। যাহারা । তীৰ্থার্থে পুরী যান, তাহদেরও ফিরিবার পথে একবার এখানে অবতরণ করিয়া-ওড়িষ্যার প্রাচীন রাজধানীর প্রাচীন কীৰ্ত্তিগুলি দর্শন করিয়া। যাইতে পারেন। GOR