পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gile-E이 || আমরা গৌরব অনুভব করিতাম। ওড়িষ্যায় যাহা দেখিয়াছি তাহাতেই বিমুগ্ধ হইয়াছি। যাহারা এ সকল অপূর্ব মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল তাহারা আজ কোথায় ? কত চিন্তা, কত অর্থব্যয় ও কত খ্যাতনামা শিল্পিগণের গৌরব বৈভব প্ৰতি মন্দিরের প্রতি কাৰ্ণিসে প্ৰতি প্ৰস্তরগাত্রে খচিত তাহা কে বলিতে পারে? যাহারা ওড়িষ্যার এই সকল প্রাচীন কীৰ্ত্তি দর্শন করিতে ইচ্ছা করেন, তাহাদের পূর্বে হাণ্টার সাহেব, ফাগুসন সাহেব, ষ্টালিং সাহেব ও বাঙ্গালার উজ্জ্বল রত্ন সুবিখ্যাত পুরাতত্ত্ববিদ ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল মিত্ৰ মহোদয়ের পুস্তকাবলী পাঠ করা উচিত, তাহা হইলে দর্শনের পক্ষে বিশেষ সুবিধা হইবে । ওড়িষ্যার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে যেরূপ প্রাচীন হিন্দুকীৰ্ত্তি সমূহ এখনও বিরাজিত রহিয়াছে, তাহা হিন্দুমাত্রেরই দেখিবার এবং গৌরব করিবার স্থল। যুগযুগান্তের নানারূপ পরিবর্তন ও বিপ্লবের মধ্য দিয়া যে প্ৰাচীন কীৰ্ত্তি বিদ্যুমান আছে তাহ দেখিবার কাহার না। সাধ হয় ? আমরা কি ছিলাম, কি হইয়াছি, একথা ওড়িষ্যায় আসিলে সহজে যেরূপ হৃদয়ঙ্গম করা যায়, অন্যত্র কোথাও সেরূপ হয় না । আশা করি, যাহারা ওড়িষ্যাদেশবাসী দিগকে ঘৃণা করেন, তাহারা ইহাদের প্রাচীন শৌৰ্য বীৰ্য্য ও ভাস্কর্য্যের অপূৰ্ণ নিপুণতার কথা চিন্তা করিয়া সেই সংকীর্ণ বুদ্ধি বিস্মৃত হইবেন । যে জাতি আজ এত পতিত ও অবনত তাহাদের প্ৰাচীন ইতিহাসের গৌরব-কাহিনী-পাঠে জ্ঞানীও ব্যথিতের অশ্রািজল ও সহানুভূতি আসাই স্বাভাবিক,—ম্বণা নহে। ]