পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । হইতে হয়। সকল নদীর কলেবর যে সমান তাহা নহে। বিশালকায় রূপনারায়ণের রজত-সলিল-প্রবাহ রেলওয়ে ব্রিজের উপর হইতে বড়ই সুন্দর দেখায়। ক্রমে আমরা বঙ্গদেশের সীমান্ত অতিক্রম করিয়া ভারতের অতীত গৌরব-মহিমামণ্ডিত ভাস্করকার্য্যের অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থল ওড়িষ্যায় আসিয়া উপনীত হইলাম। বালেশ্বর ও ভদ্রক ষ্টেসন অতিক্ৰম করিবার পর হইতেই নবীন তপনের কনক-কিরণ-রঞ্জিত বৃক্ষ-রাজি সমাকীর্ণ দূরস্থিত নীলগিরিতেশ্রণী আমাদের নয়ন-মন বিমোহিত করিতে লাগিল । ভদ্রক সহর সালন্দী নদীর তটে অবস্থিত । ভদ্রকালী দেবীর নাম হইতে এই নগরের নাম ভদ্রক হইয়াছে। এস্থানের জল বায়ু অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ; ওড়িষ্যাবাসিগণ বায়ু পরিবর্তনের জন্য এস্থানে আসিয়া থাকেন। এই সহরে অতি সুন্দর বস্ত্ৰ প্ৰস্তুত হয়। ভদ্রকের ভদ্রকালীর মন্দির ও গোপালজিউর মঠ ওড়িষ্যার তীর্থ যাত্ৰিগণের নিকট অবশ্য দর্শনীয়। অতঃপর আমরা স্বনামখ্যাত বৈতরণী নদী তন্টে অবস্থিত যাজপুর, ভুবনেশ্বর এবং পুরী যাইবার সংযোগস্থল খুরদা জংশন অতিক্ৰম করিয়া ওড়িষ্যা ও মান্দ্রাজের সন্ধিস্থলে অবস্থিত চিল্কা হ্রদের তটদেশ দিয়া অগ্রসর হইতে লাগিলাম। চিল্কা অতি রমণীয় হ্রদ। পুরীজেলার দক্ষিণ পূর্ব কোণ হইতে আরম্ভ হইয়া মান্দ্ৰাজপ্রদেশে গঞ্জাম জেলায় ইহার শেষ হইয়াছে। এই হ্রদটি বঙ্গোপসাগরের উত্তরপশ্চিম দিকে অবস্থিত। সমুদ্র ও হ্রদের মধ্যে একটী বালির টিবি দ্বারা পরস্পরে বিভক্ত হইয়া রহিয়াছে। ইহা দৈর্ঘ্যে s৪ মাইল ; প্ৰস্থে উত্তরাদ্ধে প্ৰায় ২০ বিশ মাইল, এবং দক্ষিণার্দো ক্ৰমশঃ সরু হইয়া যাওয়ায় চওড়ায় ৫ পাঁচ মাইলের অধিক নহে। এই হ্রদের গভীরতা কোন স্থানেই ৬ ফিটের অধিক নয়। ইহার জল লবণাক্ত, কিন্তু বর্ষার প্রারম্ভের সহিত লবণাক্ত জল সরিয়া গিয়া হ্রদের কলেবর ক্ৰমশঃ সুমিষ্ট সলিলরাশিতে পরিপূর্ণ হয়। ট্ৰেণ হইতে হ্রদের সৌন্দৰ্য্য চিত্ৰিতবৎ মনোহর। এই হ্রদের তীরবর্তী প্ৰাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য অবলোকন করিলে ইহাকে নৈসর্গের প্রমােদ-কানন বলিয়া অভিহিত করিতে কুণ্ঠ। , '; ا؟ r ' , یہ ?

  • ...' φη,

r r

  • ,

w ;* ሠ , - "نهم علي " " و" R 巴ö夺1 ष्कि। ३ ।।