পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । “বরুণার পার, হৈয়া শুদ্ধকার, অসংখ্য লিঙ্গেরে। যত্নে তাহে পূজি, পরে গিয়া ভজি, দেব সঙ্ঘেশ্বরে। কিঞ্চিদধ্যান তথা, করিয়া সৰ্ব্বথা, কিঞ্চিৎ তিষ্ঠিবে। পরে পাশাপাশি, ক্ষেত্রমধ্যে জ্ঞানী, প্রবেশি পূজিবে।” ইহা হইতেই পাঠকগণ আমাদের অনুমানের যথার্থতা অনুভব করিতে পরিবেন। বৌদ্ধধৰ্ম্মের অবনতির সঙ্গে সঙ্গে সারনাথের বৌদ্ধকীৰ্ত্তিকলাপাদি মৃত্তিকাগর্ভে প্রোথিত হইয়া লোক-লোচনের অদৃশ্য হইয়া গিয়াছিল,--বৌদ্ধদের সময়ে ইহার নাম “বুদ্ধকাশী’ ও ‘ষাড়ঙ্গনাথ’ ছিল। সর্বপ্রথমে প্রাচীন সারনাথের লুপ্তস্মৃতি কাশীর রাজা চেৎসিংহের সময়ে পুনরায় জাগরিত হয় । তিনি র্তাহার প্রধান মন্ত্রী জগৎসিংহের স্মরণার্থ জগৎগঞ্জ পল্লী-স্থাপনের ইচছা করিয়া স্থপতিগণকে এস্থানে প্রেরণ করেন, তাহারা, পল্লী-নিৰ্ম্মাণোদেশে উপকরণ সংগ্ৰহ করিবার জন্য প্ৰায় অষ্টাদশ হস্ত মৃত্তিকার নিম্নদেশে অশোকস্তােপ এবং তন্মধ্যস্থ ধনাগারের সন্ধান পাইয়া, ধনরত্নাদি গ্ৰহণ করে ; দৈবক্রমে উহার মধ্যস্থ দগ্ধনরঅস্থি, মুক্তা, পদ্মরাগমণি, স্বর্ণপাত এবং নিম্নলিখিত বিবরণ সহ একটী বুদ্ধমূৰ্ত্তি ও হরিদ্বর্ণ মৰ্ম্মরসম্পটক, ১৭৯৪ খ্ৰীষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে বারাণসীর সে সময়কার রেসিডেণ্ট জোনী থান ডানকান সাহেবের হস্তগত হয় । এই ঘটনার পর হইতেই পাশ্চাত্য প্রত্নতত্ত্ববিদ পণ্ডিতমণ্ডলীর ইহার প্রতি মনোযোগ আকৰ্ষিত হয়। বুদ্ধমূৰ্ত্তির সহিত প্ৰাপ্ত-বিবরণে লিখিত ছিল যে- “গৌড়াধিপতি খ্যাতনামা মহীপাল শ্ৰীধৰ্ম্মটির (বুদ্ধদেব )। চরণ অৰ্চনা করতঃ কাশীধামে ১০০ একশত ঈশান ও চিত্ৰঘণ্টা প্ৰস্তুত করেন । তঁহার ভ্রাতাদ্বয় শ্রীস্থির পাল ও বসন্ত পাল বৌদ্ধধৰ্ম্মের পুনরুদ্ধার করিয়া সম্বৎ ১০৮৩ ( ১০২৬ খ্ৰীঃ) এই স্তপ নিৰ্ম্মাণ করেন।” জেনারেল কানিংহাম সাহেব ১৮৩৫-৩৬ গ্ৰীষ্টাব্দে সারনাথে বিশেষরূপে তত্ত্বানুসন্ধান করেন এবং মূৰ্ত্তি, অট্টালিকার ভগ্নাংশ, স্তস্ত ইত্যাদি বাহির করিতে সমর্থ হন। কানিংহামের পরে ১৮৫১ খ্ৰীষ্টাব্দে মেজর কিটােও সারনাথ সম্বন্ধে বিস্তর এবং বহু মূৰ্ত্তি, স্তন্ত ইত্যাদি আবিষ্কার করিতে সমর্থ হন, সে সকল RV