পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালটেয়ার । গিয়াছে ; উত্ত্বেলিত ফেণময় লহরী নিচয় গভীর গৰ্জনে অবিশ্রান্ত আসিয়া পৰ্বতের সানুদেশে ও বেলাভূমিতে আঘাত করিতেছে! সমুদ্রের লীলাময় অনন্ত সৌন্দৰ্য্য লিখিয়া বুঝাইতে যাওয়া বিড়ম্বন মাত্র ; সে মহিমাময় স্বষ্টির বিশালত্ব যিনি দর্শন করিয়াছেন তিনিই বিমুগ্ধ হইয়াছেন, যিনি দেখেন নাই, তাহার পক্ষে হৃদয়ে সেই বিরাট ভাবি কল্পনা করা অসম্ভব। ওয়ালটেয়ারে নানাবিধ সামুদ্রিক মৎস্য প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। স্থানীয় তেলেগু শিক্ষিত ভদ্রলোকদের আচার পদ্ধতি একটু বিচিত্র রকমের। র্তাহাদের মধ্যে অনেকেই বাহুতে স্বর্ণ বলয় ও কর্ণে হীরার ফুল ইত্যাদি পরিয়া থাকেন; সর্বাপেক্ষা নূতনত্ব বোধ হয় যখন ইহারা নগ্নপদে কাপড় ও কোট পরিয়া কোর্টে ও স্কুলে মাষ্টারী এবং ওকালতি করিতে গমনাগমন করেন । ব্ৰাহ্মণের ও বৈশ্যগণ নিরামিষাসী, কিন্তু অন্যান্য জাতির মধ্যে সকলেই মৎস্যমাংসাদি ভোজন করে। বণিকেরা সর্ববিষয়েই ব্ৰাহ্মণদের অনুকরণ করিয়া থাকে ; তাহারাও নিরামিষাসী । স্ত্রীলোকদের মধ্যে কেবল বিধবারাই মস্তক মুণ্ডন ও অবগুণ্ঠন দিয়া থাকে, সধবারা গুণ্ঠনে বদনকমল আবৃত করিয়া রাখে না । বালিকার ঘাঘড়া পরে। ভদ্ররমণীরা সাধারণতঃ কাছ দিয়া কাপড় পরেন, কিন্তু উৎসবাদিতে কাছা ও কোচ উভয়ই থাকে। বিধবারা একাদশীর দিবস উপৰাস করেন, কিন্তু তাহা আমাদের দেশের ন্যায় নিৰ্জলা নহে। বাঙ্গালা দেশের পৌষ সংক্রান্তিকে ইহারা ‘পিঙ্গল” প্যেন্দ্যা, পানাড়গু বলে এবং তাহাই এখানকার প্রধান পর্ব। এসময়ে আমাদের দেশের দুৰ্গোৎসবের ন্যায় চারিদিকে একটা আনন্দের কলরব জাগিয়া ওঠে। ছেলে মেয়েরা নূতন বস্ত্ৰাদি পরিধান করে, প্ৰবাসীগণ দেশে আইসে, বিবাহিতা সীমন্তিনীগণ পিত্ৰালয়ে প্রত্যাবৰ্ত্তন করে, প্রতি ঘরে ঘরেই আনন্দ-উৎসব সম্পাদিত হয়। এই উৎসব ও দুর্গোৎসবের স্যায় তিন দিবস ব্যাপীই হইয়া থাকে। এতদ্ব্যতীত আর একট পর্ব আছে তাহাকে “দশরা” বলে। এ সময়ে ৰাগেদবীর অৰ্চনা হয়, এ উপলক্ষে বিদ্যালয়ের ছাত্রেরা এবং শিক্ষিত লোকেরা পুস্তকাদি এবং শিল্পীগণ স্বীয় VV) (Rè द्यौठि-नौङि । পৰ্ব্ব ইত্যাদি ।