পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

stsNite স্বীয় যন্ত্রাদির অৰ্চনা করিয়া থাকেন। স্ক্যাণ্ডেল পয়েণ্ট হইতে কিয়দ্দুর ত্যালি গার্ডেন ও অগ্রসর হইলে ব্যাকওয়াটারে পহুছিতে পারা যায়। এক गैडाश পয়সা ব্যয় করিয়া ব্যাকওয়াটার পার হইলেই डालि গার্ডেন ও ডলফিনসনোজ’ পাহাড়ে পহুছান যায়। দূর হইতে পর্বতের অধিত্যকার মধ্যে যে একটা সুন্দর উদ্যান আছে তাহ অনুমান করা যায় না । বাগানটি দেখিতে অত্যন্ত মনোরম ৷ ইহার ভিতরে একটি বাড়ী ও একটা ঝরণা আছে। এই পৰ্বতের উপর হইতে নগরের ও সমুদ্রের সৌন্দৰ্য্য অত্যন্ত মনোহারী বলিয়া বোধ হয়। উদ্যানটি রাজা গজপতি রায়ের সম্পত্তি ।। ভ্যালি গার্ডেন ব্যতীত ওয়ালটেয়ারের উত্তর পূর্বে গিরিশ্রেণীর সানুদেশে সন্ন্যাসীর চট্ট বা সীতামধারা নামক এদেশীয় জনৈক সঙ্গতিশালী ব্যক্তির আর একটি উদ্যান বাটিকা আছে। এই উদ্যান মধ্যস্থ বাংলাটি অত্যন্ত সুন্দর। চারিদিকে নানা শ্রেণীর ফুল ও ফলের বৃক্ষাদি থাকায় ইহার সৌন্দৰ্য্য অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়াছে। বাগানের পশ্চাৎ পৰ্ব্বত গাত্ৰ হইতে একটী ক্ষুদ্র নির্বারিণী কুলু কুলু রবে প্রবাহিত হইয়া বাগানের জলসেকের কার্য্য সম্পাদন করিতেছে। বাড়ীটি থাকিবার জন্য ভাড়া পাওয়া যায়, দুই একদিন বিনা ব্যয়েও থাকিতে পারা যায়, কিন্তু সহর হইতে কিছু দূরে নির্জন বলিয়া থাকিবার পক্ষে সুবিধা হয় না। ভিজিগাপত্তন নগরে গজদন্ত, চন্দন কাষ্ঠ ও মহিষের শৃঙ্গের কাৰ্য্য খুব সুন্দর হয়। শিল্পীরা ফরমাইসানুযায়ী দ্রব্যাদি তৈরি করিয়া দিতে পারে। ওয়ালটেয়ারে স্থায়ী প্ৰবাসী বাঙ্গালীর সংখ্যা খুব অল্প; স্বাস্থ্যপ্রাথী নরনারীর সংখ্যাই এখানে অধিক। আমরা দুই মাসের কিঞ্চিদধিক কাল ওয়ালটেয়ারে অবস্থিতি করিয়া শ্রাবণের প্রত্যুষে সামলকোট রওয়ানা হইয়া অপরাহ্ন চারি ঘটিকার সময় স্থানীয় শিল্পাদি। তথায় উপনীত হইলাম। : GRR