পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মছলিপত্তন। সেই ঝড়ের দুৰ্দমনীয় আক্রমণে মছলীপত্তনের সৌন্দৰ্য্য বহু পরিমাণে শ্ৰীভ্রষ্ট হইয়াছে। প্রাচীন ইতিহাস আলোচনা করিলে দেখিতে পাই যে গ্ৰীষ্টীয় চতুৰ্দশ শতাব্দীতে সিংহলাধিবাসী আরবীয় বণিকগণ যখন দক্ষিণাত্য আক্রমণ করেন, তখন তাহারা সমুদ্রবারি-বিধৌত সমুদ্রোপকুলবৰ্ত্তী এই স্থানের বাণিজ্যোপযোগীতা দর্শনে এই স্থানে একটী বাণিজ্যাৰ্থ বন্দর স্থাপন করিয়া যান । ১৪২৫ খ্ৰীষ্টাব্দে কর্ণাটাধিপতি দাক্ষিণাত্যের বাহ্মণীরাজগণের সহিত যুদ্ধ করিতে মুসলমান সৈন্যগণের সহায়তা গ্রহণ করিয়াছিলেন, সে জন্য এই স্থানে তিনি তাহদের উপাসনার নিমিত্ত একটী মসজিদ নিৰ্ম্মাণের অনুমতি দেন। ১৪৭৮ খ্ৰীষ্টাব্দে বাহ্মণীরাজ দ্বিতীয় মহম্মদ, তৎপরে ওড়িষ্যারাজ গজপতি সিংহ এবং এই গজপতি বংশের প্রভাব ক্ষীণ হইলে গোলকুণ্ডাধিপতি সুলতান কুতবসহ মছলীপত্তনের আধিপত্য লাভ করেন। সাৰ্দ্ধ শতাব্দকাল পৰ্য্যন্ত ইহা গোলকুণ্ডার রাজার অধিকারে ছিল, সে সময়ে এস্থান বাণিজ্য-সমৃদ্ধিতে অতি উন্নত স্থান অধিকার করিয়াছিল। এ সময়ে ইয়ুরোপীয় বণিকগণও এখানে প্ৰবেশ করিয়া বাণিজ্যের উন্নতিকল্পে মনোযোগী হইয়াছিলেন । । করমণ্ডল কুলে মছলিপত্তনই ইংরেজদের প্রথম উপনিবেশ। ইংরেজগণ । পুলিকটে বাণিজ্য কুঠি স্থাপনে ব্যর্থমনােরথ হইয়া “গ্লোব” নামক জাহাজের কাপ্তেন হিপানের সাহায্যে ১৬১১ খ্ৰীষ্টাব্দে এক এজেন্সী স্থাপন করেন, ইহাকেই ইতিহাসে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর ৭ম ভারত-যাত্ৰা বলিয়া কহিয়া থাকে। মছলীপত্তনে ইংরেজগণ কুঠি নিৰ্ম্মাণের পর বিতাড়িত হন, কিন্তু গোলকোণ্ডার নরপতির ফাৰ্ম্মাণের বলে পুনরায় এই বন্দরে প্রবেশাধিকার লাভ করেন, ইংরেজ ইতিহাসে এই ফাৰ্ম্মণকে “গোলন্ডন यांन्ट्रांs” मांभ অভিহিত করা হইয়াছে । ওলন্দাজের পর ইংরেজ বণিক, তৎপরে ফরাসী বণিকও বাণিজ্যের অংশভাগী হইবার জন্য ১৬৬৯ খ্ৰীষ্টাব্দে এখানে আসিয়া উপস্থিত হন , ইতিমধ্যে কোন কারণে ইংরেজদের সহিত গোলকোণ্ডারাজের মনোমালিন্য হওয়ায় ইংরেজদের প্রতি বাণিজ্য রহিতের আদেশ প্ৰদান করিয়া ওলন্দাজ প্ৰাচীন ইতিহাস ।