পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । দের প্রতি নগর শাসনের ভার অপণ করেন । ওলন্দাজের ইংরেজের উচ্ছেদ সাধনে যত্নবান হইয়াও অকৃতকাৰ্য্য হয় । ইহার তিন বৎসর পরে ঔরঙ্গজেবের সেনাপতি জুলফিকার খাঁ দাক্ষিণাত্য বিজয়ে আসিয়া মছলীপত্তনের সমুদয় কুঠি লুণ্ঠন করেন। ১৬৯০ খ্ৰীষ্টাব্দে মোগল সম্রাটের নিকট হইতে ফাৰ্ম্মাণ আনাইয়া ইংরেজগণ মছলীপত্তনে পুনরায় বাণিজ্যাধিকার প্রাপ্ত হন। ১৭৫৯ খ্ৰীষ্টাব্দে ইংরেজ সেনাপতি ফাউ সাহেব বলপূর্বক এ স্থানের দুর্গ অধিকার করেন। ১৭৬৬ খ্ৰীষ্টাব্দে সমুদয় মছলীপত্তন ইংরেজ হস্তে পতিত হয়। ع, পুর্বে এ স্থানের কার্পাস বস্ত্রের ও ছিটের উৎকর্ষ বহুদূর পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বৰ্ত্তমান সময়েও এ স্থানের তন্তুবায়গণ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত প্ৰসিদ্ধ ছিট, ছাপের কাপড়, “মাটাপোল্লাম” বস্ত্ৰ এবং টোয়ালে, টেবিল ক্ল'গ প্ৰভৃতি নানাপ্রকারের উত্তম বস্ত্র ও প্রয়োজনীয় দ্রব্য সকল দূরদেশে রপ্তানী হইয়া থাকে। মছলীপত্তনে তেলেগু ভাষা প্রচলিত। এই নগরকে তেলেগু রাজ্যের খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম প্রচারের কেন্দ্র-স্থল বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। খ্ৰীষ্টান মিশনারীগণের কৃপায় এখানকার অধিবাসীদের মধ্যে অনেকেই অন্ধকার হইতে আলোকে আসিতেছে । সমুদ্র তীরে অবস্থিত বলিয়া ইহার প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য অনির্বচনীয়। আমরা এস্থান দেখিয়া বিশেষ তৃপ্তিলাভ করিয়াছিলাম। সে দিবস রাত্ৰিতে বেজাওদায় প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিয়া সেখান হইতে পরদিবস বেলা দশ ঘটিকার সময় পুনরায় কালহস্তী অভিমুখে রওয়ানা হইলাম। সারাদিন এবং সারারাত্ৰি গাড়ীতে কাটাইয়া পরদিবস বেলা নয়টার সময় কালহস্তী উপনীত হইলাম। পথে রাত্রিতে চতুর্দিকস্থ সোন্দৰ্য্য বিশেষরূপে উপলব্ধি করিতে পারি নাই ; কিন্তু প্ৰত্যুষে পূর্বদিকে যখন উষার রক্তিমােচ্ছটা দেখা দিয়াছিল তখন চারিদিকে গগনস্পৰ্শী পর্বত মালার অটল আচল সৌন্দৰ্য্য দর্শনে মুগ্ধ হইয়াছিলাম। যতদূর দেখা যায়। ততদূর পর্য্যন্তই কেবল বৃক্ষলতা সমাকীর্ণ নির্বর-শীকর-সম্পৃক্ত, দিগন্ত প্রসারী ভূধরশ্রেণী মনােমােহন সৌন্দর্ষ্যে বিমুগ্ধ করিয়াছিল। शिझयानि । ,叫 r" * * ..