পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aਤੇ । ਫਜੇਚ অদ্য কাঞ্চীনগরী দর্শন করিলাম। এ স্থানের লোকসংখ্যা ৪৬,১৬৪ । ইহারই প্রাচীন নাম কাঞ্চী, বা কাঞ্চীপুরম (স্বর্ণনগরী)। যে সাতটি মহাতীৰ্থ মােক্ষাপ্রদ বলিয়া কথিত, কান্ধী তাহার মধ্যে অন্যতম। (১) এই নগরী দক্ষিণ-ভারতের কাশী নামে বিখ্যাত। কাঞ্চী নগরী দৈর্ঘ্যে প্রায় পাঁচ ছয় মাইল হইবে। রাস্তাগুলি সমুদয়ই সুপ্ৰশস্ত। বিশেষতঃ, উহাদের উভয় পার্শ্বে নারিকেলবৃক্ষশ্রেণী থাকায় বড়ই সুন্দর দেখায়। পথের ধারে স্থানে স্থানে বাগান, এবং ছোট ছোট কুঞ্জ। সে সমুদয় ছায়া-নিবিড় স্থানে মধ্যাহ্ন-সূৰ্য্যের প্রখর কিরণেও তাঁতীগণ তাত পাতিয়া বস্ত্ৰ ইত্যাদি নানাবিধ দ্রব্য বয়ন করিয়া থাকে । নারিকেল বৃক্ষশ্রেণীর শীতল ছায়ায় ও মৃদুমন্দ সমীরসঞ্চালনে তাহারা দ্বিপ্রহরের রৌদ্রদীপ্ত প্ৰকৃতির রুদ্রতেজ অনুভব করে না। এই নগরী সাধারণতঃ শিবকাঞ্চী V3 বিষ্ণু-কাঞ্চী, । 6झे लूई डig१ दिङख এ স্থানে জলের কল আছে। : ব্ৰাহ্মণের পাঁচটি ও শূদ্রের একটি হােটেল থাকায় নবাগত যাত্ৰিগণের আহারাদি সম্পর্কে কোনও অসুবিধা হয় না। ব্যয় ও সামান্য ; ০৯/১০ দশ পয়সা হইতে। ০ চারি আনা পৰ্য্যন্ত। এতদ্ব্যতীত যাত্ৰিগণের থাকিবার জন্য দশটি ছত্ৰম আছে। এ সকল ছত্ৰে থাকিতে পারা যায়, কিন্তু আহারাদির বন্দোবস্ত যাত্রীদিগকে নিজে করিয়া লইতে হয়। যাতায়াতের জন্য ঝটিকা, গো-যান ইত্যাদি সমুদয়ই পাওয়া যায়। চােল রাজ্যের মধ্যে ইহা একটী বিশেষ বিখ্যাত নগরী। চতুৰ্দশ শতাবন্দীতে কাঞ্চী টোণ্ডামণ্ডলমের রাজধানী ছিল। ১৬৪৪ খৃষ্টাব্দে বিজয়নগর রাজবংশের পতন হইলে, ইহা গোলকুণ্ডার মুসলমান নরপতির শাসনাধীন সাধারণ বর্ণনা। (১) অযোধ্যা মথুরা মায়া কাশী কাঞ্চী অবস্তিকা । পুরী দ্বারবর্তী চৈব সপ্তৈতা মোক্ষদায়িকা।— স্কন্দপুরাণম্। . Ꮹ8Ꭸ