পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঞ্চী বা কাঞ্জিীভরাম। হয়। তাহার কিয়ৎকাল পরে ইহা আরকটি রাজ্যের অন্তৰ্গত হয়। ১৭৫১ খৃষ্টাব্দে লর্ড ক্লাইব ফরাসীদিগের নিকট হইতে ইহা অধিকার করেন । কিন্তু ঐ বর্ষেই রাজা সাহেবকে ফিরাইয়া দিতে হয়। ফরাসীরা ১৭৫৭ খৃষ্টাব্দে এই স্থান আক্রমণ করিয়া অগ্নিসাৎ করেন। পর বৎসরে ইংরেজগণ ফরাসীদিগের বিরুদ্ধে মান্দ্ৰাজে অভিযান করেন, এবং পুনরায় ফিরিয়া আসিয়া এই নগর ফরাসীদের হস্ত হইতে উদ্ধার করেন। খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে চৈনিক পরিব্রাজক হিউ এন সিয়ং যখন (কি-এন-চি-পুং-লো ) কাঞ্চী নগরীতে আগমন করেন, তখন ইহা দ্রাবিড় রাজ্যের রাজধানী ছিল । সেই সময়ে এই স্থানে এক শতটি বৌদ্ধ সঙ্ঘারাম ও ৮০টি দেবমন্দির ছিল। ধৰ্ম্মপাল বােধিসত্ব কাঞ্চীতে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন বলিয়া বৌদ্ধগণ এই স্থানকে পুণ্যভূমি বলিয়া মনে করিত। সেই জন্য এ স্থানে বহু-বৌদ্ধ, ভিক্ষু-যাত্রী সমাগত হইত। পাণ্ড্যরাজগণের সময়ে এ স্থানে জৈন ধৰ্ম্ম প্রবল হইয়া উঠে। জৈনগণ এ স্থানের বহু বৌদ্ধ অধিবাসীকে বিতাড়িত করেন । এই নগরের অনতিদূরে পুল্লালপুর নামক একটি স্থান দৃষ্ট হয়। পুল্ললপুরে ইংরেজ ও মুসলমানে ঘোরতর যুদ্ধ হইয়াছিল। তাঁহাতে বিখ্যাত হাইদার আলি জেনারেল বেলীর সৈন্যবৃহ ভেদ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। এই ঘটনা ১৭৮০ খৃষ্টাব্দে ঘটে । যখন কাঞ্চীপুরে বিজয়নগরের কৃষ্ণদেব রায় ( ১৫০৮ ) রাজ্যাভিষিক্ত হন, তখন তিনি কাঞ্চীপুরের শতস্তম্ভ মঠ ও কতকগুলি মন্দির সংস্কৃত করিয়াছিলেন । ১৪ ৩১ শকে খোদিত একখানি অনুশাসনপত্ৰ হইতে জানা যায় যে, অত্ৰত্য বরদরাজ স্বামীর মন্দিরের ব্যয়নিৰ্বাহাৰ্থ তিনি কয়েকখানি গ্ৰাম প্ৰদান করিয়াছিলেন । এই সমুদয় গ্রাম হইতে প্ৰায় এগার শত টাকা কর আদায় হইত। কাঞ্চীনগরী যে কেবল তীর্থস্থান, তাহা নহে। ইহা একটি মহা পীঠস্থানও বটে। বৃহমীল তন্ত্র বলেন,- AAAS SSSS “কাঞ্চ্যাং কনককাঞ্চী স্যাদবন্ত্যামিতিপাবনী। . —বৃহমীলতন্ত্রে পঞ্চম পাঠ। ] তোড়ল তন্ত্রের মতে, এই তীর্থ মহাদেবের কটিদেশস্বরূপ । যথা,- “ ७टtौिन दें डिश् मि । a sis