পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাভিমূলে মহেশানি অযোধ্যাপুরী সংস্থিত । কাঞ্চীপীঠং কটিদেশে শ্ৰীহট্টং পৃষ্ঠদেশকে ৷ —6ङापुछ्व्ाङक्ष ; १भ ऐछझाम । কাঞ্চীতে প্ৰস্তরনিৰ্ম্মিত বহু মন্দির, মূৰ্ত্তি ও নানা প্রকার প্রাচীন ঐতিহাসিক বিখ্যাত দর্শনীয়ে পরিপূর্ণ। এই নগরী প্রত্নতত্ত্ববিদগণের বিশেষরূপে দর্শনযোগ্য। প্ৰত্যেক মন্দিরের প্রত্যেক প্ৰস্তরস্তম্ভে কত প্ৰাচীন তত্ত্ব প্রচ্ছন্ন, তাহা কে বলিতে পারে ? কত স্মৃতি, কত শিল্প, কত ধনৈশ্বৰ্য্যের গৌরবস্তম্ভ এই সমুদয় মন্দিরসমূহে বিদ্যমান ; তাহার উদ্ধার দৈবজ্ঞানসম্পন্ন মহাপুরুষ ব্যতীত অপরের পক্ষে অসম্ভব। ইহা দেখিবার, কিন্তু বুঝাইবার নহে। প্রাচীন শিল্প-নৈপুণ্য ও স্থপতিবিদ্যার অভূতপূর্ব কৌশলে বিমুগ্ধ হইয়াছি বটে, কিন্তু কাহাকেও তােহা বুঝাইতে পারি, এমন শক্তি নাই। শিবকাঞ্চীতে শিব-মন্দির ও বিষ্ণুকাঞ্চীতে বিষ্ণু-মন্দির অবস্থিত। শিব- কাঞ্চীতে একাম্রনাথ, ভগবতী কামাক্ষী দেবীর মূৰ্ত্তি, ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্যের প্রতিমূৰ্ত্তি ও সমাধিস্থান। বিষ্ণুকাঞ্চীতে শ্ৰীবর দরাজস্বামী নামক বিষ্ণুর উলঙ্গ মূৰ্ত্তি। এতদ্ব্যতীত বেগবতীধারীতীর্থ, রবিতীর্থ, সোমতীর্থ, মঙ্গলতীৰ্থ, বুধতীর্থ ও শনিতীৰ্থ প্রধান। আমরা সর্বপ্ৰথমে শিব-কাঞ্চী দর্শন করিলাম। এ দেশীয় লোকের নিকট ইত্যা বারাণসীতুল্য। শিব-কাঞ্চীর এই মন্দিরটি একামিনাথের নামে উৎসর্গীকৃত। এই শিবলিঙ্গ দক্ষিণ-ভারতের বিখ্যাত পঞ্চলিঙ্গমের অন্যতম। মন্দিরের সুবৃহৎ সুউচ্চ গোপুরামটি বিজয়নগরের কৃষ্ণদেব রায় কর্তৃক নিৰ্ম্মিত । ইহাতে অদ্যাপিও হাইদার আলির কামানের গোলার আঘাতের চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। বসন্তকালে এখানে পঞ্চদশদিবসব্যাপী মেলা বসে। বড় গোপুরামটি ব্যতীত এই মন্দিরে আরও কয়েকটি ছোট ছোট গোপুরাম ও সুবৃহৎ মণ্ডপ আছে। ইহার একটি অট্টালিকাতে এক হাজার প্রস্তরস্তম্ভ বিদ্যমান। পাঠক! একবার কল্পনা করুন যে, প্রাচীন ভারতে স্থপতিবিদ্যা কত দূর উন্নত ছিল ! যে গৃহে সুবৃহৎ নানাপ্রকার কারুকাৰ্য্যে খচিত সহস্ৰ স্তম্ভ বিদ্যমান, সে গৃহটি কত বৃহৎ, এবং তাহ নিৰ্ম্মাণ করিতে কত অর্থব্যয়, কত পরিশ্রম, কত শিল্পী ও পরিশ্রমীর আবশ্যক হইয়াছিল ! এ স্থানের শিব-কাঞ্চী । ४०