পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঞ্চী বা কাঞ্জীভরাম । সৰ্বাপেক্ষা বৃহত্তর গোপুরামটি দশতোলা, তাহার উচ্চতা ১৮৮ ফিট ; ইহা সমাচতুষ্কোণ ; ইহার প্রত্যেক দিকই ৭৪ ফিট দীর্ঘ। যখন আমরা ইহার পাদদেশে আসিয়া দাড়াইলাম, তখন আমরা ইহার উচ্চতা ও শিল্প-নৈপুণ্য দেখিয়া বিমুগ্ধ হইয়া গিয়াছিলাম ! সুপ্ৰশস্ত ও সুকঠিন গ্রেনাইট প্রস্তর দ্বারা ইহার কলেবর গ্রথিত । এমন একটু স্থান নাই, যে স্থানে কোনও লতা পাতা ফুল ফল বা কোনও পৌরাণিক দেবদেবীর মূৰ্ত্তি অঙ্কিত না SNCB যে সময়ে কোনও রূপ কল কৌশল ছিল না। সে সময়ে কিরূপে যে দূরবর্তী পৰ্বতসমূহ হইতে এই সকল প্রস্তরখণ্ড আনীত হইয়াছিল, এবং কত দিনে কত পরিশ্রমে কিরূপ অধ্যবসায়ে যে ইহাদের গঠন হইয়াছিল, তাহা ভাবিলে এক দিকে বিস্ময় ও অপর দিকে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। হায় ! হায় । মহাকালের কারাল শাসনে কত উন্নত অবস্থা হইতেই না। আমাদের চরম অধঃপতন হইয়াছে ! প্রত্যেক গোপুরামেই উঠিবার সোপান আছে। এই গুলির উপর আরোহণ করিলে চতুর্দিকস্থ দৃশ্যাবলী আলেখ্যের ন্যায় প্রতীয়মান হয়। সিঁড়িগুলি খুব উচু, এবং সিঁড়ির পথ এত অন্ধকার যে, আলোর সহায়তা ভিন্ন তদুপরি আরোহণ করা অসম্ভব । আমরা সঙ্গে প্ৰদীপ লইয়াছিলাম । বিষ্ণুকাঞ্চীর বিষ্ণুমন্দির শিবকাঞ্চী হইতে প্রায় দুই মাইল দূরে অবস্থিত। বিষ্ণু-মন্দিরের নিকটস্থ মণ্টপমের একটি হলে এক শতটি স্তম্ভ আছে। প্রত্যেক স্তস্তে নানাজাতিয় জন্তুসমূহের দেহ অতি সজীবিভাবে ক্ষোদিত। কোনটিতে অশ্বারোহী অশ্বারোহণে দ্রুত-গমনে যাইবার জন্য তুরঙ্গপৃষ্ঠে কশাঘাত করিতেছে ; কোথাও বা অসিহস্তে যোদ্ধা যুদ্ধে যাইবার জন্য ব্যগ্ৰ ! এবংবিধ বহু প্রকারের ক্ষোদিত মুক্তির সজীবতা দর্শন করিলে বিস্ময়ে তন্ময় হইতে श्श । কাঞ্চীনগরীর উৎপত্তি বিষয়ে পুরাণে কথিত আছে যে, মহাদেবের মতে ইহা শ্ৰীক্ষেত্র, রামেশ্বর, এমন কি, কাশী অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ । এ স্থান যাহারা দর্শন করে, এবং এ স্থানে যাহারা বাস । করে, তাহারা অনায়াসে মুক্তিলাভ করিয়া থাকে ; ভবানী-পতি আরও বিষ্ণুকাঞ্চী । পৌরাণিক তত্ত্ব। 6ł6ły