পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਚਿਫ ভিক্ত লুপুর একটী রেলওয়ে জংশন ; এই সহরটীি দক্ষিণ আরকটি জেলার ভিলুপুরম তালুকের অন্তঃৰ্গত। মান্দ্ৰাজ নগরী হইতে ইহা ৯৮ মাইল দূরে অবস্থিত। ষ্টেসন হইতে প্ৰায় দেড় মাইল দূরে ডাক বাংলা আছে, সে স্থানে কেবল দুইজন লোক থাকিতে পারে ; আহারাদির বন্দোবস্ত নিজেদের করা প্রয়োজনীয়। হিন্দু-যাত্ৰিগণ নিকটস্থ ছত্ৰেই আহারাদি করিতে পারেন, প্ৰতি বেলা আহারের জন্য কেবল দশ পয়সা দিতে হয়। যাতায়াতের জন্য ষ্টেসনেই গো-যান পাওয়া যায়। ভিলুপুরমে দর্শনযোগ্য কিছুই নাই। এস্থান হইতে ২৷ মাইল দূরবত্তী উত্তর-পশ্চিম দিকে একটী ক্ষুদ্র গ্রাম আছে তাহার নাম ত্ৰিবমথুর, সে স্থানের প্রাচীন অভিরামেশ্বরের মন্দির দর্শনীয়। আমরা ভিলুপুরমে আহারাদি সমাপন করিয়া বেল প্ৰায় এক ঘটিকার সময় গো-যানারোহণে ত্ৰিবমথুর গ্রামাভিমুখে রওয়ানা হইলাম। তখন প্রখর তপনালোকে চারিদিক উত্তপ্ত। প্ৰকৃতির প্রভাত সময়কালীন শান্ত সৌম্য মূৰ্ত্তি আর নাই, চারিদিকে একটা প্রখরতা জাগিয়া উঠিয়াছে। গাড়োয়ান তাহার জাত ভাষায় বলদ দু'টিকে গালি দিতে ও তাহার ল্যাজ মোচুড়াইতে মোচুড়াইতে গাড়ী চালাইয়া চলিল। রাস্তার দুই ধারে নানাজাতিয় গাছ, দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ, কোথাও বা অতি দূরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শৈলশ্রেণী মেঘমালার ন্যায় দৃষ্ট হইতেছে, ছোট ছোট খাল হইতে গ্ৰাম্য রমণীগণ জলপাত্র ভরিয়া জল নিতেছে, ক্ষেত্রে কৃষকেরা কাজ করিতেছে, মাথার উপর দিয়া পাখীগুলি পাখা মেলিয়া আহার সংস্থানে ব্যগ্র ; মধ্যাহ্নের সজীবতার সঙ্গে সঙ্গে সমুদয় জগতই জাগ্ৰত প্রতীয়মান হইল। আমরা অপরাহ্ন চারি ঘটিকার সময় ত্ৰিবমথুরস্থ মন্দির সন্নিকটে উপনীত হইলাম, মন্দিরটীি প্ৰাচীন এইমাত্র, তেমন শিল্পনৈপুণ্য এস্থানে দেখিলাম না। भनिन्न भाषा রঘুকুলতিলক শ্ৰীরামচন্দ্র এবং সপ্ত ঋষির মূৰ্ত্তি বিরাজিত। V0 नाथद्ध दर्शन । जियभभूव । পথের বর্ণনা ।