পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৬৯

ਝਣ প্ৰথমেই মায়ােভরমে অবতরণ করিলাম। ইহা একটী রেলওয়ে ংযোগস্থল। লোকসংখ্যা ( ২৪,২৭৬)। কলনদিনী পুণ্য-সলিলা গোদাবরী নদীর দক্ষিণ তীরে এই ক্ষুদ্র নগরটি বিরাজমান। রেলওয়ে ষ্টেসন হইতে সহরটীি ২॥০ মাইল পূর্বদিকে অবস্থিত। এস্থানে ডাকবাংলা, ছত্ৰম এবং ব্ৰাহ্মণের হোটেল আছে বলিয়া যাত্ৰিগণের আহারাদি করিবার কোনও অসুবিধা হয় না। যাতায়াতের জন্য ঝাঁটুকা এবং গো-যান উভয়ই পাওয়া যায়, ভাড়াও যথাক্রমে প্ৰতি মাইল ০/০ দুই আনা ও /১০ ছয় পয়সা মাত্র। এস্থানে স্ত্রীলোকদের পরিধানোপযোগী এক প্রকার বস্ত্ৰ নিৰ্ম্মিত হয়, এ অঞ্চলে তাহার বিশেষ আদর, ইহাকে কৰ্ণাড কাপড় বলে। কলা, ধান্য এবং নারিকেলই এ নও মশিনের স্থানের প্রধান কৃষিজাত দ্রব্য। প্রতি সোমবার এবং কথা। শুক্রবার এখানে একটি হাট বসে। সে সময়ে নিকটবর্তী গ্ৰাম হইতে বহুলোকে সমবেত হয় এবং আবশ্যকীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করিয়া থাকে। আশ্বিন ও কাৰ্ত্তিক মাসে শিব এবং বিষ্ণু মন্দিরের সন্নিকটে যে উৎসব হয়, তাহাতে ৩০,০০০ হইতে প্ৰায় ৪০,০০০ লোক সমবেত হয়। এই উৎসব একমাসকাল স্থায়ী হইলেও শেষ দশম দিবসই বিশেষ পবিত্ৰ বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে। মায়ােভরমে শিব এবং বিষ্ণুর মন্দির ব্যতীত আর কিছুই দর্শনীয় নাই । বিষ্ণুমন্দিরের স্বর্ণ, রৌপ্য ও মণিমুক্তাদিখচিত শয্যা বিশেষ দ্রষ্টব্য। বাড়ী অত্যন্ত প্ৰকাণ্ড । S S এ অঞ্চলের শস্যশ্যামলা প্রকৃতি-সুন্দরীর হাস্যময়ীমূৰ্ত্তি ভ্ৰমণকারীর চিত্তাকর্ষক। চারিদিকে নারিকেল গাছ ফলভারে সুশোভিত হইয়া সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি করিতেছে। আমরা এখান হইতে চিদাম্বরমে গমন করিলাম। সাধারণ ৰৰ্ণনা । ས་ , 'sirr". . . . . "