পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फ्रिलक्षद्वाभ् । আছে, তাহদের সর্বাঙ্গ তামার পাত দ্বারা বিজড়িত। মন্দিরের চতুঃসীমার মধ্যে একটি পুষ্করিণী আছে ; ইহা দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ১৫০ × ১০০ ফিট । ইহার চতুর্দিক প্ৰস্তর দিয়া বঁধান। এই জলাশয়টা প্ৰাচীন হেমতীর্থের উপর নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । বহু লোক এই সরোবরে ভক্তিভারে সুমান করিয়া থাকে। সরোবরের জলের রং সবুজ এবং দুৰ্গন্ধযুক্ত। পানীয় জলের নিমিত্ত মন্দিরে চারিটাি কৃপ আছে । এই সকল কুপের জলও স্বাস্থ্যকর নহে। এই পুণ্য সরসীর উত্তরভাগে পাৰ্পর্বতী দেবীর সুবৃহৎ মন্দির ; মন্দির সম্মুখস্থ নাটমণ্ডপ আতিশয় মনোরম এবং নানাবিধ ভাস্কর-কাৰ্য্য-সমন্বিত । পুষ্করিণীর দক্ষিণদিকে বিখ্যাত সহস্ৰ-স্তম্ভ-মণ্ডপ । এই মণ্ডপ অনেকাংশে শ্ৰীরঙ্গমের মন্দিরের ন্যায়, কিন্তু তাহা অপেক্ষা আধুনিক বলিয়া বোধ হয়। এই মণ্ডপে অত্যুৎকৃষ্ট ভাস্কর-কাৰ্য্যযুক্ত এক সহস্ৰ স্তম্ভ আছে । অপর একটী মণ্ডপে নটেশ্বর মহাদেবের মূৰ্ত্তি দৃষ্ট হয়। কথিত আছে যে, একদা মহাদেব এক পদে নৃত্য করিয়া ভগবতীকে পরাভূত করেন ; তদবধি ঐ স্থানে নটবেশে একপদে অবস্থান করিতেছেন। শিবের এই এক পদে নৃত্যভঙ্গীর প্ৰতি যাহারা দেখিতে চাহেন, তাহারা হ্যাভেল সাহেবের গ্রন্থে “নটেশ’ মূৰ্ত্তির ধাতু-প্রতিমার ছবি দেখিতে পাইবেন । আমরা এ সমুদয় দর্শন করিয়া একটী মন্দিরে অনন্তশ্যায়ী বিষ্ণুমূৰ্ত্তি ও পিন্নিইয়ার নামক আর একটিতে বিঘ্নেশ্বরের মূৰ্ত্তি দর্শন করিলাম। এ মন্দিরের পুরোহিতগণকে দীক্ষিত কহে । ইহারা সকলে সভায় সমবেত হইয়া কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য নিৰ্দ্ধারণ করিয়া থাকেন। যদি একজন সভ্য কোন বিষয়ে আপত্তি করেন, তবে তাহা কাৰ্য্যে পরিণত হইতে পারে না । কোনও বিষয়-কাৰ্য্য পরিণত করিতে হইলে তাহ সর্ববাদী-সম্মত হওয়া আবশ্যক। উপবীতধারী সকল দীক্ষিতেরই তুল্য ক্ষমতা । এই নিমিত্তেই দীক্ষিতগণের অতি শৈশবেই উপনয়ন হইয়া থাকে। কুড়ি জন করিয়া দীক্ষিত প্ৰতিবারে পূজায় নিয়োজিত থাকে । ইহাদের এক একজন প্ৰতিদিন এক এক মন্দিরে পূজা করেন । এইরূপে কুড়িদিনে প্ৰত্যেকেরই সকল মন্দিরে একবার করিয়া পূজা করিতে হয়। তখন নূতন ২০ কুড়িজন আসিয়া উহাদের স্থান অধিকার করেন । ইহারা পালা অনুসারে এক এক Q\ხტ: