পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਹਿ>ਛੁਝ ত্ৰিচিনাপল্লী, ত্ৰিচিনপল্লী জেলাস্থ প্ৰধান নগর । কাবেরী নদীর দক্ষিণতটে এই নগরট অবস্থিত। লোক সংখ্যা ১০৪,৭২১ জন। এই নগরের উৎপত্তি সম্বন্ধে এইরূপ কিম্বদন্তী প্ৰচলিত আছে । যে প্রাচীন কালে ত্রিশিরা নামে এক রাক্ষস পর্বত মধ্যে বাস করিত, পর্বতের চতুৰ্দিক ভয়ঙ্কর অরণ্যানী সন্ধুল ছিল, আর রাক্ষসের ভয়ে সেস্থানে কেহ প্ৰবেশ করিতে সাহস পাইত না । কিয়ৎকাল পরে সুরবদিওয়ান নামে কোন সাহসী বীর পুরুষ এই রাক্ষসকে বধ করেন ; সেই অবধি ইহার নাম ত্রিশিরাপল্লী হইয়াছে। সুরবদিওয়ান পরিশেষে জঙ্গল পরিষ্কার পূর্বক এই স্থানেই রাজধানী স্থাপন করেন। এই বীরপুরুষ স্বকীয় বীরত্ব প্রভাবে ত্রিশিরা রাক্ষসকে বধ করিয়া নিকটবৰ্ত্তী জনসাধারণের প্রাণ রক্ষা করিয়াছিলেন বলিয়া অদ্যাপি তিনি সুব্রহ্মণ্য নামে অভিহিত হইয়া কাবেরী নদীর উভয় তটে শিবালয়ে ভক্তি-পুষ্পাঞ্জলিসহ অচ্চিত হইয়া আসিতেছেন। খ্ৰীষ্টিয় পূর্ব পঞ্চশতাব্দী হইতে চােলরাজগণও এখানে কিছুকাল রাজদণ্ড পরিচালনা করিয়াছিলেন। এস্থানে নানাপ্রকার ঐতিহাসিক বিপ্লব সংঘটিত হইয়াছে। চোলরাজগণের পরে মুসলমান ঐতিহাসিক নৃপতিরা এইস্থান অধিকার করিয়াছিলেন, তবে মুসলমানেরা বিবরণ। কোন সময়ে ত্ৰিশিরাপল্লী আক্রমণ করিয়াছিল তাহার প্রকৃত বিবরণ নিরুপণ করা সুকঠিন। ১৩১০ খ্ৰীষ্টাব্দে দিল্লীর বাদসহ - আলাউদ্দীনের প্রধান সেনানায়ক বল্লাল, রাজধানী দ্বারসমূদ্র লুঠ করিয়া রামেশ্বর পর্য্যন্ত অগ্রসর হইয়াছিলেন । যদিও ত্রিশিরাপল্লী লুণ্ঠনের সম্বন্ধে কোনও বিবরণ জ্ঞাত হওয়া যায় না, তবুও সে সময়ে তাহারা ত্রিশিরাপীয় লুণ্ঠন করিয়াছিলেন এইরূপ অনুমান করা অসঙ্গত বলিয়া মনে হয় না। : নানাপ্রকার বিপ্লবের মধ্য দিয়া এবং যুদ্ধ বিগ্ৰহাদির পরে ১৭৮২ খ্ৰীষ্টাব্দে হায়দর আলি মানব-লীলা সম্বরণ করিলে তাহার পুত্র টিপু কর্নাটক । পরিত্যাগ করিয়া মহীসুরে প্রত্যাগমন করেন। ১৭৯২ খ্ৰীষ্টাব্দে মান্দ্ৰাজ नांद्र क९ । (; ԳՏ