পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভযামরা মাদুরা নগরে তিন দিন অবস্থান করিয়া এ নগর দর্শন করিয়াছিলাম। দাক্ষিণাত্যের মধ্যে প্রধান ও বৃহৎ নগর। সমুদ্রগর্ভ হইতে ইহার উচ্চতা ৪৪০ ফিট । লোকসংখ্যা ১০৫,৯৮৪ । প্ৰাচীনকালে ইহা বহু দিন পৰ্য্যন্ত পাণ্ড্য্যবংশীয় নরপতিগণের রাজধানী ছিল। দ্বিতীয় শতাব্দীতে বংশশেখর এই নগরে তামিল চতুষ্পাঠীর প্রতিষ্ঠা করেন। তাহা অষ্টম শতাব্দী পৰ্য্যন্ত জীবিত থাকিয়া মাদুরা নগরকে তামিল ভাষার কেন্দ্ৰস্থল করিয়া গিয়াছে। ভৈগৈ নদীর তীরে মাদুরা নগরী অবস্থিত। গ্রীক ও রোমান লেখকগণের পুস্তকেও এই ভৈগৈ নদীর উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। এই নদীগর্ভে যে সমুদয় প্রাচীন রোমীয় ও গ্রীসীয় মুদ্রা পাওয়া গিয়াছে, তাহা দেখিয়া অনুমান হয় যে, প্রাচীন সময়েও সুদূর পাশ্চাত্য দেশের সহিত দাক্ষিণাত্যবাসীদের বাণিজ্যাদি নির্বাহিত হইত । মাদুরা ষ্টেশনের অতি নিকটে একটি ডাকবাঙ্গলো আছে। সেখানে এককালে চারি জন লোক থাকিতে পারে । এ স্থানে যাতায়াতের জন্য ভাড়াটিয়া ঘোড়ার গাড়ী, ঝাটকা, গো-যান প্ৰভৃতি পাওয়া যায়। নগরের সমুদয় দ্রষ্টব্য পদার্থ তন্ন তন্ন করিয়া দেখাইবার জন্য এখানে 'গাইড' (Guide) পাওয়া যায়। ইহাদিগকে প্রতিদিন ৩২ তিন টাকা পারিশ্রমিক দিতে হয়। কৃষি ও সুকুমার শিল্পকলার জন্য মাদুরা ভারত-বিখ্যাত । এখানে মসলিনের উপর স্বর্ণ ও রৌপ্য তারের কারুকাৰ্য্য অতিশয় সূক্ষভাবে সম্পন্ন হয়। মাদুরার কাষ্ঠের ও পিত্তলের নানারূপ কারুকাৰ্য্য ভারতীয় সূক্ষশিল্পের ও ভারতীয় শিল্পীর অপূর্ব কলা-নৈপুণ্যের পরিচায়ক। বৈদেশিক ভ্ৰমণকারিগণ এই সকল কারুর সৌন্দৰ্য্য দেখিয়া বিস্মিত হইয়া থাকেন। এখানকার কৰ্ম্মকারগণের স্বর্ণ ও রৌপ্যের কারুকাৰ্য্যও বিশেষ প্ৰশংসনীয়। কৃষিজাত দ্রব্যের মধ্যে ধান্য ও কদলীই প্ৰধান । প্ৰত্যেক বৃহস্পতিবার ও রবিবার এখানে হাট বসে। মাদুরার চৈত্র মেলা’ বিশেষ বিখ্যাত। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে এই মেলা হয়। পৌষ ও 0kbፖS