পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরেজের ইহাকে Golden-Lotus tank বলেন । এই জলাশয়ের চতুর্দিকে প্রাচীর। তাহাতে মহাদেবের মাহাত্ম্যপ্রকাশক অলৌকিক লীলা অঙ্কিত আছে। এই সরোবরের বাম পার্শ্ব দিয়া কিয়দ্দূর অগ্রসর হইলেই সুবৰ্ণমণ্ডিত মন্দির চূড়ার অনুপম সৌন্দৰ্য্য দেখিয়া বিস্ময়ে অভিভূত হইতে হয়। মন্দিরের মধ্যে ও প্রাচীর-গাত্রে শিব, গণেশ, কাৰ্ত্তিক ইত্যাদি বহু দেব দেবীর সুন্দর সুগঠিত মূৰ্ত্তি দৃষ্টিগোচর হয়। এ স্থানের শতস্তস্ত-মণ্ডপম অবশ্য-দর্শনীয়। মণ্ডপমের এক পার্শ্বে একটী ক্ষুদ্র প্রাচীর বেষ্টিত স্থানে নবগ্রহের মূৰ্ত্তি। মধ্যে তেজঃপুঞ্জ দিবাকরের মূৰ্ত্তি ও তাহার চারি দিকে অষ্টগ্রহের মূৰ্ত্তি খোদিত। এই স্থানের মন্দির, মণ্ডপম ইত্যাদি পরম রমণীয় ও কারুকাৰ্যখচিত । ভাষার এমন শক্তি নাই যে, তাহার যথাযথ বর্ণনা করিয়া স্বাভাবিক চিত্ৰ পাঠকের নিকট < উপস্থিত করিতে পারি। পঞ্চ পাণ্ডবের মূৰ্ত্তিও মণ্ডপের এক স্থানে খোদিত দেখিলাম। মাদুরার ঐতিহাসিক তত্ত্ব অবধানযোগ্য। পাণ্ড্য রাজাদের পরে মাদুবা ষোড়শ শতাব্দীতে বিজয়নগরের হিন্দু নরপতিগণের অধিকৃত হয়। র্তাহারা নায়ক বংশের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বনাথ নায়ককে মাদুরার শাসনকৰ্ত্তার পদে বরণ করিয়া মাদুরায় প্রেরণ করেন। এই বিশ্বনাথই নায়ক-বংশের প্রতিষ্ঠাতা। ইহার বংশধর ত্ৰিমালা নায়ক (১৬২৩ – ৫৭) মাদুরা নগরীকে সুন্দর নয়নাভিরাম সৌধমালায় সুসজ্জিত করিয়াছিলেন। র্তাহার মৃত্যুর পর তদীয় রাজ্য নানা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডে বিভক্ত হইয়া যায়। ১৭৪০ খৃষ্টাব্দে চান্দসাহেব মাদুরা অধিকার । করেন। ১৮০১ খৃষ্টাব্দে কর্ণাটকের নবাব ইংরেজদের হস্তে মাদুর সমর্পণ করেন । র্যাহারা মাদুরার দৃষ্টিরম্য মন্দির সমূহের কল্পনা করিয়াছিলেন, তাঁহাদের হৃদয় যে কত মহান ও কবিত্বময় ছিল, তাহা ভাবিলেও বিস্মিত হইতে হয়। দূর হইতে ইহাদের অম্বর বিচুম্বিনী চুড়া সকল দৃষ্টি-পথে পতিত হইলে হৃদয়ে আনন্দের অপূর্ব বিদ্যুৎ-প্রবাহ সঞ্চারিত হইয়া থাকে। W, তিরুমলের ছাত্রী’ বা ‘পড়ুমণ্ডপ” মাদুরার সর্বাপেক্ষা বিস্ময়কর কীৰ্ত্তি । এই ছাত্রী উপাস্যদেব সুন্দরেশ্বরের উদেশে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। তিরুমাল मेंख्श्ॉिनिक उद्ध । (న