পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাদুরা । করিয়া এই তোপ্পাকুলমের বক্ষে বিহার করিয়া থাকেন। তখন পুষ্করিণীর চারি তীরে সুবিশাল জনসঙ্ঘ আনন্দধ্বনি করিতে থাকে। বৈশাখ মাসের শুক্লা পঞ্চমী হইতে পূর্ণিমা পৰ্য্যন্ত মাদুরার সর্বপ্রধান উৎসব হইয়া থাকে। কথিত আছে যে, প্ৰাচীনকালে স্বয়ং দেবরাজ ইন্দ্ৰ আসিয়া পূর্ণিমা তিথিতে এই সুন্দরেশ্বর শিবলিঙ্গের অৰ্চনা করিতেন । সেই হইতে প্ৰতিবৎসর দ্বাদশদিবসব্যাপী উৎসব হইয়া আসিতেছে। স্থানীয় জনসাধারণের বিশ্বাস এই যে, পূর্ণিমা তিথিতে সুন্দরলিঙ্গের অৰ্চনা করিলে সংবৎসর অৰ্চনার সুফল লাভ হয়। এই উৎসবে প্ৰায় ত্ৰিশ চল্লিশ হাজার দর্শকের সমাগম হইয়া থাকে । সহস্ৰস্তম্ভ-মণ্ডপের নিকটস্থ যে মণ্ডপে সুন্দরলিঙ্গ দেবের বসন্তোৎসব হয়, তাহার নাম বসন্ত-মণ্ডপ । ইহা মহারাজা তিরুমাল নায়ক কুড়ি লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। মণ্ডপটি দৈর্ঘ্যে ১০০ গজ ও প্রস্থে ২০ গজ । ইহার ছাদ ১২০ এক শত কুড়িটা প্ৰস্তর-স্তম্ভের উপর নিৰ্ম্মিত । প্ৰত্যেক স্তম্ভ ২০ ফিট উচ্চ । এই মণ্ডপের মধ্যে সলিলরাশি প্রবাহিত করিবার জন্য পয়ঃপ্ৰণালী আছে। যখন বৈশাখ মাসে শুক্লাপঞ্চমী তিথি হইতে পূৰ্ণিমা পৰ্য্যন্ত দশদিবসব্যাপী উৎসব হয়, তখন ঐ পয়ঃপ্ৰণালী জলে পূর্ণ থাকে। কেহ কেহ বলেন যে, ইহার উদ্দেশ্য,—শৈত্যবিধান। দেবতার অলঙ্কার ও দেবালয়ের তৈজসপত্র প্রভৃতি দর্শনীয়। তৈজসপত্রের মূল্য পঞ্চাশ হাজার ও মণিমুক্তাদির মূল্য আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার অধিক। আমরা পূর্বে যে তোপ্পাকুলামের উল্লেখ করিয়াছি, সেখান হইতে পাঁচ মাইল দূরে তিরুপর্যন্ধুদ্ৰম নামক স্থানের পার্শ্বদেশে এক শৈব-মন্দির আছে। ইহাও সুন্দর। ঝাঁটুকায় ও গো-যান-যোগে এই স্থানে যাইতে হয়। স্থানটী নিৰ্জন। স্থলপুরাণে এ স্থানের সুন্দরেশ্বর শিবলিঙ্গের উৎপত্তি সম্বন্ধে লিখিত আছে যে,-- একদা দেবরাজ ইন্দ্ৰ দেবনাৰ্ত্তকীগণে পরিবৃত হইয়া অভিনিবেশসহকারে তাহাদের নৃত্যগীতাদি দর্শন ও শ্রবণ করিতেছিলেন । এমন সময়ে দেবগুরু বৃহস্পতি তথায় উপনীত হন। দেবরাজ তেীৰ্য্যত্রিকে এমন মগ্ন ও তন্ময় হইয়াছিলেন যে, বৃহস্পতিকে ननि कथ। । coोब्रांकि ऊद्ध । G @SN久