পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । এখানকার জজের বাঙ্গলোর হাতায় একটি প্ৰকাণ্ড বটবৃক্ষ আছে। তাহা দৰ্শন-যোগ্য। এই বৃহদায়তন বটের মূলদেশের বেড় প্ৰায় ৭০ ফিট । শাখা প্ৰশাখা ১৮০ ফিট পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত । এখানে প্ৰায় প্ৰত্যেক রাত্ৰিতেই নাট্যাভিনয় হইয়া থাকে । আমরা এক দিন অভিনয় দেখিতে গিয়াছিলাম। প্ৰথম শ্রেণীর মূল্য আট আনা ; দ্বিতীয় শ্রেণীর মূল্য ছয় আনা । আমাদের দেশের থিয়েটারের ন্যায়, দৃশ্যপট ও রঙ্গালয় সুসজ্জিত। এখানে পুরুষেরাই স্ত্রী-ভূমিকার অভিনয় করিয়া থাকে। রীতিমত ঐক্যতানবাদনের পরে অভিনয় আরম্ভ হইল। দেখিলাম, রাজা, বিদূষক, রাণী, ভৃত্যবৰ্গ, এমন কি, রাস্তার মুটে মজুর। পৰ্য্যন্ত গান করিতেছে। কথার অপেক্ষা গানই অধিক শুনিলাম। অনবরত দৃশ্যের পর দৃশ্য অভিনীত হইতেছে ; আমরা মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় দেখিতেছি, অথচ তাহার এক বৰ্ণও বুঝিতে পারিতেছি না। আমাদের গাইডু মহাশয়কে নাটকীয় ঘটনার বিষয় জিজ্ঞাসা করিলাম । তিনি আমাদিগকে বলিলেন যে,-“এক রাজা বুদ্ধ বয়সে। তঁহার উপযুক্ত পুত্রের বিবাহের জন্য এক সুন্দরী রাজকুমারীর সহিত পুত্রের সম্বন্ধ স্থির করিয়াছিলেন। পরিশেষে নিজেই সেই রূপসী রাজকন্যার রূপলাবণ্যে মুগ্ধ হইয়া তাহাকে বিবাহ করিবার সঙ্কল্প করেন। রাজকুমারের বিবাহের সম্বন্ধ যে স্থির করিয়াছিলেন, তাহা তিনি রাজধানীতে প্ৰকাশ করেন নাই। এ দিকে রাজকুমারী বিবাহ সময়ে এই বৃদ্ধ নরপতিকে দেখিয়া তাহার গলে মালা অৰ্পণ করিতে অস্বীকৃত হইলেন। ক্রমশঃ পিতার এইরূপ কুৎসিত আচরণের কাহিনী রাজকুমারের কর্ণগোচর হইল। রাজকুমার তখন অনন্যেপায় হইয়া কপোতের দ্বারা রাজকুমারীর নিকট পত্র প্রেরণ করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন।” যখন । এই পত্রিকা-প্রেরণের উদ্যোগ চলিতেছিল, তখন আমরা টেণের সময় নিকটবৰ্ত্তী দেখিয়া ষ্টেশনের দিকে অগ্রসর হইলাম। যদিও আমরা তামিল অভিনেতাদিগের অভিনয়ের এক বৰ্ণও বুঝিতে পারি নাই, তথাপি বলিতে পারি, প্ৰত্যেক অভিনেতার একই প্রকারের একঘেয়ে সুরের গানগুলি কৰ্ণপীড়ার উৎপাদন । করিতেছিল। a প্রাচীন বটবৃক্ষ। नibा।ांख्निध्र ।