পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টিউটকোরিণ। সৌন্দৰ্য্য দর্শনে চিত্ত বিমুগ্ধ হইয়া গেল ! মনে কত কি ভাবিলাম, মনে পড়িল সেই দিন, —স্বষ্টির প্রথম যুগে যখন পৃথিবীব্যাপ্ত অনন্ত নীলিমাময় অনন্ত সাগর ছিল, তখন কি এক মহান দৃশ্যই না ছিল ! কিন্তু সে কল্পনা মানবের সাধ্যাতীত । টিউটকোরিণে ছোট ছোট নৌকার থাকিবার বিশেষ সুবিধা আছে, কিন্তু তীর হইতে প্ৰায় ছয় মাইল পৰ্য্যন্ত সমুদ্রের জল অগভীর হওয়ায় বড় বড় জাহাজ ইত্যাদি তীরে নাঙ্গর করিতে পারে না । সমুদ্র তীর হইতে নগর ছয় ফিট উচ্চ, লোক-সংখ্যা ২৮,০৪৮ জন ৷ ( British India Hotel ) ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া হোটেল নামক একটী হোটেল আছে, সেখানে একত্ৰ পাচজন লোক থাকিতে পারে । সর্বশ্রেণীস্থ হিন্দুযাত্ৰিগণেরও এস্থানে আহারাদির বিশেষ সুবিধা, কারণ যেটসনের নিকটে প্ৰায় বিশটা হোটেল আছে। যাতায়াতের জন্য ঝটুকা এবং ঘোড়ারগাড়ী ষ্টেসনেই পাওয়া যায়। টিউটকোরিণ হইতে প্ৰতিদিন অপরাহ্নে জাহাজ লঙ্কা দ্বীপে যায় এবং প্ৰতিদিন প্ৰভাতে সেখান श्ड ५6थान डाईन । পর্তুগীজদিগের দ্বারা সর্বপ্রথমে ১৫১০ খ্ৰীষ্টাব্দে এই বন্দর স্থাপিত হয়। ১৬৫৮ খ্ৰীষ্টাব্দে ওলন্দাজেরা পৰ্ত্ত গীজদিগকে পরাজিত করিয়া এই বন্দর অধিকার করিয়া বসেন । বহুদিন পৰ্য্যন্ত ইহা ওলন্দাজদিগের অধিকারভুক্ত ছিল, পরে ১৭৯৫ খ্ৰীষ্টাব্দে ইংরেজদের হস্তে আইসে। পলিগার যুদ্ধের সময় কিছুকালের জন্য ইহা ইংরেজদের হস্ত হইতে বিচু্যত হইয়া ওলন্দাজদিগের অধিকার-ভুক্ত হয়, কিন্তু পরিশেষে ১৮২৫ খ্ৰীষ্টাব্দে পুনরায় ইংরেজদের হস্তে আইসে এবং সে অবধি এই পৰ্য্যন্ত তাহদের অধিকার-ভুক্তই আছে। এক সময়ে এই স্থান মুক্তার ব্যবসায়ের জন্য বিশেষ প্ৰসিদ্ধ ছিল। তখন কেপ্‌ কমোরিন হইতে পাস্বাম, খাল পৰ্য্যন্ত মুক্ত পাওয়া যাইত। ক্রমশঃ পাম্বমের খাল গভীর হওয়ায় ভাল মুক্তা-গর্ভ শাল্লুক পাওয়া যায় না । এখনও যে সমুদয় ঝিনুক পাওয়া যায় তাহাতে মুক্ত থাকে। প্ৰতি বৎসর মুক্তা তোলা হয় না। গভৰ্মেণ্টের তত্ত্বাবধানে মুক্ত-সংগ্রহের কাৰ্য্য ঐতিহাসিক তত্ত্ব । \o S