পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । পথে পতিত হয় না। বাম দিকে পশ্চিম ঘাট পর্বতের আষাঢ়ের নব ঘনের ন্যায় নীল কলেবর, সৌন্দৰ্য্যের একটা মায়াজাল বিস্তার করিয়া দিতেছিল। আরনকোলাম ষ্টেসান হইতে এক মাইল দূরে একটা ডাক বাংলা আছে, সে স্থানে যাত্ৰিগণ ইচ্ছানুরূপ অবস্থান করিতে পারেন । এস্থানে কোচীনের রাজকীয় ধৰ্ম্মাধিকরণ ও বিদ্যা মন্দিরাদি অবস্থিত। কয়েক বৎসরের মধ্যেই পূর্বাপেক্ষা সহরের বহু পরিমাণে উন্নতি সংসাধিত হইয়াছে। সমুদ্রতীরবত্তী সুপ্ৰশস্ত রাজপথ এবং সুন্দর সুন্দর সৌধাবলী নগরের সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি করিয়াছে। বর্ষাকালে আমাদের দেশের মত এস্থানেও জল বৃদ্ধি হইয়া ভূমি সকল জলমগ্ন হয়, জল অপস্থত হইলে পরে ধান্যাদি বপন করিয়া থাকে। বেকওয়াটারের দুই মাইল পশ্চিম দিকে কোচিন নগর সংস্থাপিত । আমাদের বঙ্গদেশে বসন্তের প্রারম্ভে যে মধুর দক্ষিণ বায়ু প্রবাহিত হইতে থাকে বঙ্গকবিগণ তাহাকে মলয়ানিল কহিয়া থাকেন ; সেই মলয়ানিলের জন্মভূমি মালবার বা মলয়ারের শ্যাম সৌন্দৰ্য্য কবিগণের একবার দর্শন করা উচিত। এস্থান সমশীতোষ্ণ দেশ। ঋতু পরিবর্তনের সহিত পরিচ্ছদাদি পরিবর্তনের কোনও আবশ্যক হয় না । রাত্ৰিতে শীতবস্ত্ৰ ব্যবহার করা প্ৰয়োজন । সন্ধ্যার কিঞ্চিৎ পূর্বে আমরা একবার সমুদ্রতটে বেড়াইয়া আসিলাম । চারিদিকে সন্ধ্যা-সুন্দরীর শুভাগমন ধ্বনি নীরবতার সহিত ব্যক্ত হইতেছিল, দিগৃদিগন্তে একটা মলিন ছায়ার সুগভীর আবরণ ধীরে ধীরে স্তরে স্তরে সমুদ্র-গর্ভ-শায়িত সূৰ্য্যদেবের বিপরীত দিক হইতে আপনাকে প্ৰকাশ করিতেছিল। একটা দুইটা করিয়া তারকারাজি সন্ধ্যা-সুন্দরীর অন্ধকার মাঝে আপনাদের প্রদীপ্ত সুষমা বিকাশ করিয়া দিয়াছিল। আৰ্ণাকোলামের ডাক বাংলার সম্মুখে বহুদূর ব্যাপি হাটের পথ, উভয় পার্শ্বে বিবিধ দ্ৰব্য-সামগ্ৰী পরিপূর্ণ বিপনি নিচয় আলেখ্যাবৎ বিদ্যমান। এ স্থান হইতে চারি ক্রোশ দূরে ত্রিপুন্তোরা নামক স্থানে কোচিনের রাজা বাস করেন । সেখানে দেবমন্দিরাদি আছে। আর্ণাকোলামের দর্শনীয় দ্রব্যাদি দর্শন করিয়া এবং নগরের বিভিন্নাংশ পৰ্য্যবেক্ষণান্তর কোচিন নগরে গমন করিলাম। এই নগরে রাজার সাহায্যে একটী পাঠাগার স্থাপিত হইয়াছে। . پتالان " नश्gद्ध कथा ।