পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আছে। সীতার মন্দিরটীি নষ্টপ্ৰায় হইয়া গিয়াছিল, কিন্তু রাজ্ঞী অহল্যাবাইয়ের দৃষ্টি পড়ায় ইহা সুসংস্কৃত হইয়াছে—সীতার ঘাটটাও তিনিই বঁাধাইয়া দিয়াছিলেন। লক্ষণ বা লছমনঘাটেই ভ্ৰাতৃবৎসল লক্ষণ ভ্ৰাতৃ-আজ্ঞায় সরযু-সলিলে আত্মবিসর্জন করিয়া অদ্ভুত ভ্রাতৃ-প্রেমের দৃষ্টান্ত রাখিয়া । গিয়াছেন। জগতের ইতিহাসে লক্ষণের ভ্রাতৃ-ভক্তি চিরদিন উজ্জ্বল অক্ষরে লিখিত থাকিবে । রামঘাটে রামচন্দ্র ও জীবন-সৰ্ব্বস্ব ভ্রাতার পন্থানুসরণ করিয়া বৈকুণ্ঠে গমন করিয়াছেন। রামঘাটে আসিয়া যখন দাড়াইয়াছিলাম, তখন হৃদয়ে যে কি এক মহান স্বৰ্গীয় ভাবের উদয় হইতেছিল তাহার প্রকৃত বিবরণ দেওয়া অসম্ভব। রামঘট হইতে কিয়দারে সরযুর পশ্চিমদিকে একটা প্রাচীন দুর্গের ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়— ইহা কে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন তাহা নির্ণয় করা সুকঠিন, তবে অতিশয় ट्धांत्रीन् त्वव्ट्रिांझे cतांश इझेळ । 菁 রামায়ণের প্রতিদৃশ্য নয়ন সমক্ষে অভিনীত হইতে দেখিতেছিলাম,~~ কিন্তু সে প্ৰাচীন-মহত্ত্ব এখন কোথায়! ধীরে সরযু-আমাদের পদতলে বহিয়া যাইতেছিল—কিন্ত তাহার সেই কালনাদের মধ্যে ত মধুর রাগিণী বাজিয়া উঠিল না । সে যেন শোকাকুলিত চিত্তে অতি দুঃখে শোক-সঙ্গীতে সাগরাভিমুখে যাইতেছিল। একদিন সে রামচন্দ্রের পিতৃসত্যপালনার্থ বন-গমন দৃশ্ব দেখিয়াছিল,—সে শোক-দৃশ্যের পরে পুনরায় রাম-রাজত্বের অপূর্ব পুলক দৃশ্যও অভিনীত হইতে দেখিয়াছিল--কিন্তু আজ--কেবলই শোক-কাহিনী— কেবলি শ্মশান-ভস্ম বুকে করিয়া তাহাকে বহিয়া যাইতে হইতেছে। অযোধ্যায় রামচরিত্রের কতকগুলি মূৰ্ত্তি গঠিত আছে, শিল্পনৈপুণ্যের তাদৃশ শ্রেষ্ঠত্ব না থাকিলেও এগুলি দেখিতে নিতান্ত মন্দ নঙ্গে । কোথাও অভিমানিনী কৈকেয়ীসুন্দরী নিরাভরণা ও ধূল্যাবলুষ্ঠিতা, রাজা দশরথ অবনত বদনে মানিনীর মানভঞ্জন করিতেছেন, কোথাও শ্ৰী রামচন্দ্ৰ সীতা ও লক্ষণ বল্কল বসনে দেহ আবৃত করতঃ বন-গমন করিতেছেন ; আবার কোন স্থানে শ্রীরামচন্দ্র অশ্বমেধ যজ্ঞে ব্রতী, কিন্তু সাধবী সতী জনক-নন্দিনী বনবাসে, ওদিকে সস্ত্রীক না হইলে ধৰ্ম্মানুষ্ঠান সুসম্পাদিত হয় না। সেজন্য সুবৰ্ণসীতা নিৰ্ম্মাণ করিয়া যজ্ঞে ব্ৰতী