পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইয়াছেন ; এসব দেখিতে দেখিতে অযোধ্যার পূর্ব-স্মৃতি জাগিয়া উঠে, কি । ছিল কি হইয়াছে।--অতুল-গৌরব-বৈভব-মণ্ডিত মহানগরী আজ শশান ! / কোন সহৃদয় ব্যক্তি—সে সকল প্ৰাচীন-কাহিনী চিন্তা করিয়া অশ্রািজল সংবরণ করিতে পারেন ? অযোধ্যার রামলীলা বিশেষ দর্শনীয়, দুঃখের বিষয় আমরা তাহা দেখিতে পাই নাই। প্রতি বৎসর রামনবমীর সময় এ স্থানে মেলা হইয়া থাকে—মেলায় প্রায় ৫০,০০০০ লোক সমাগম হয়। নানা প্ৰকার রাজবিপ্লব্যাদির পরে ১৮৫৬ খ্ৰীষ্টাব্দে অযোধ্যা ইংরেজদিগের অধিকৃত হইয়াছে ; অযোধ্যায় বৈষ্ণবধৰ্ম্মের বিভিন্ন শাখার প্রায় সাতটী মঠ আছে, প্ৰত্যেক সম্প্রদায়েরই এক একটী বিভিন্ন মঠ। হনুমান-গড়ে নির্বাণী সম্প্রদায়ের মঠ আছে দেখিয়াছিলাম। এ নগরে জৈনদেরও ছয়ট মন্দির আছে—মন্দিরগুলি দেখিতে বেশ সুন্দর। সরযুর তীরে বিশেষতঃ স্বৰ্গঘাটেই যাত্ৰিগণ স্নান, দান ও ভোজ্যাদি উৎসর্গ করিয়া থাকেন। এই ঘাটটীি পাকা করিয়া বাঁধান, তীরে মনোহর বৃক্ষ-শ্রেণী থাকায় এ স্থানের সৌন্দৰ্য্য ও স্নিগ্ধতা বহু পরিমাণে বৃদ্ধি করিয়াছে। সারাদিন ঘুরিয়া ঘুরিয়া অযোধ্যানগরী দর্শনান্তে, শেষ বেলা ফৈজাবাদ দেখিতে রওয়ানা হইলাম। অযোধ্যা হইতে ফৈজাবাদ ৫।৬ মাইল দূরে অবস্থিত। রাস্তার ধূলি উড়াইয়া আমাদের অশ্ব-শকট প্রায় বেলা ৩০টা - চারিটার সময় ফৈজাবাদ পৌছিল। উক্ত জেলার ইহাই প্ৰধান নগর ও সেনানিবাস। অযোধ্যা প্রদেশের মধ্যে ফৈজাবাদ বিভাগ বিশেষ বিখ্যাত। এই সহরটি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন । রাস্তাগুলি প্ৰশস্ত ও সুন্দর সুন্দর অট্টালিকাদি দ্বারা সুশোভিত। ফৈজাবাদ । বহুদিনের প্রাচীন নগর নহে, ১৭৩০ খ্ৰীষ্টাব্দে মনসুর আলিখা এ স্থানে । আসিয়া অনেক দিবস অতিবাহিত করেন, তাহার পরে তদীয় বংশোন্তৰ সুজাউদ্দৌলা কর্তৃক ১৭৯২ খ্ৰীষ্টাব্দে ইহা রাজধানীরূপে পরিগণিত হয়। ইহা যে একদিন মুসলমানের নগর এবং মুসলমান কর্তৃকই স্থাপিত হইয়াছিল, . তাহা এখানকার মসজিদের সংখ্যাধিক্য দৃষ্টেই সহজে অনুভূত হয়। ১৭৮০ | খ্ৰীষ্টাব্দে আসফউদ্দৌলা এ স্থান হইতে রাজদরবার লক্ষ্মৌতে তুলিয়া নেওয়ার পর হইতেই ফৈজাবাদের সৌন্দৰ্য নষ্ট হইতে থাকে। বহুবেগমের সময়ও cसद्धयां ।