পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজয়নগর । । পূর্ণ হওয়াতে গ্ৰীতি-প্ৰফুল্ল-চিত্তে জগন্মাতার চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ পূর্বক গাত্ৰোত্থান করিলেন। বিদ্যারণ্য স্বামী মহাদেবীর শুভ আশীৰ্বাদ শিরে লইয়া অরাজক বিশাল বিজয়নগরের ভার স্বীয় স্কন্ধে গ্ৰহণ করিলেন। এতদিন সংসারে বীতস্পৃহ যে তাপস জাগতিক সমুদয় ঐশ্বৰ্য্য ও প্রলোভন হইতে দূরে রহিয়া নিষ্কাম সাধনায় নিরত ছিলেন, আজ সেই নিষ্কাম তাপসই রাজ্যের ভার স্বীয় স্কন্ধে গ্ৰহণ করিলেন । এই মাহাত্মা সাম্রাজ্যের হিতকল্পে বিগতস্পৃহ হইয়াও জীবন সমর্পণ করিলেন। ১৩৩৬ খ্ৰীষ্টাব্দে এই মহাত্মার নামানুসারে বিজয়নগরের নাম পরিবৰ্ত্তিত হইয়া বিদ্যানগরে পরিণত বিদ্যানগর স্থাপিত হইলে পর দশ বৎসর। পৰ্য্যন্ত মাধবাচাৰ্য্য নিজে রাজ্য শাসন করিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি নিজে কখনও রাজা বা মহারাজা নামে অভিহিত হন নাই । এই দশ বৎসর। পৰ্য্যন্ত রাজদণ্ড পরিচালনা করিয়া তিনি সঙ্গম রাজবংশকে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠাপিত করতঃ নিজে মন্ত্রীর কাৰ্য্যে ব্ৰতী হইলেন। সঙ্গমরাজ প্রথম হরিহর নবস্থাপিত বিদ্যানগরের প্রথম রাজা। ইহারা পঞ্চভ্রাতা ছিলেন, হরিহরের অপর চারি সহােদরের নাম কম্প, বুদ্ধ, মারপ্প ও মুদল্প। ইহারা সকলেই সমর-নিপুণ ও বিশ্বাসী ছিলেন। মহারাজা হরিহর নিতান্ত বিচক্ষণ লোক ছিলেন, ভ্রাতাদের মনে যাহাতে কোনওরূপ অশান্তির ভাব না। আসে, সেজন্য ইহাদিগের উপরে দায়িত্বপূর্ণ রাজকাৰ্য্য সমূহ অৰ্পণ করিয়াছিলেন। ইহাদ্বারা একদিকে যেমন রাজকাৰ্য্যের সুবিধা হইল, অন্যদিকে আবার তেমনি ভ্রাতৃগণ ও রাজ্যের অবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপ অবগত হইলেন । এই চারি ভ্রাতার মধ্যে প্রথম বুকের নাম ইতিহাসে চির প্ৰসিদ্ধ, ইনি অসাধারণ যোদ্ধা এবং সমর-নিপুণ ছিলেন। রাজা হরিহরের সোমন নামে একটী পুত্ৰ সন্তান জন্মগ্রহণ করিয়াছিল, হরিহরের জীব দশাতেই তাহার মৃত্যু হওয়ায় বুক্কই যুবরাজের পদে অভিষিক্ত হইলেন। , এই পঞ্চ ভ্ৰাতা পঞ্চপাণ্ডবের ন্যায় রাজগুরু মাধবাচাৰ্য্যের পরামর্শানু সারে বহুদিন পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করেন। ফেরিস্তা পাঠে জ্ঞাত হওয়া য য় ৰে হরিহর হিন্দুরাজগণের সহিত সমবেত হইয়া দিল্লীর সুলতানকে | b”እ sy