পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- . - I - . . . . . . - - . . . . . . . . . . . .وه. * . . . " م' * , " ". , এ নগরের সমুদ্ধি ও শোভা বহু পরিমাণে বিদ্যমান ছিল, কিন্তু ১৮১৬ খ্ৰীষ্টাব্দে উক্ত বেগম সাহেবার মৃত্যু হইতেই—এই সহরের সৌন্দৰ্য্য একেবারে নষ্ট হইয়া গিয়াছে। ফৈজাবাদের প্রধান দ্রষ্টব্য পদার্থ, বহুবেগমের সমাধি ও তৎসংলগ্ন ‘দোল-খুসি’ নামক সুন্দর প্রাসাদ। অযোধ্যা প্রদেশের মধ্যে ফৈজাবাদের এই দোল-খুসি প্রাসাদ প্রধান দেখিবার জিনিষ। ফৈজাবাদের মসজিদ, প্রাচীন অট্টালিকাও দোলখুসি ইত্যাদি দর্শনান্তে ষ্টেসনে গমন করিলাম ও রান্ত্রি নয়টার সময় লক্ষ্মেী রওয়ান হইলাম । সেদিন রজনী অন্ধকারময়ী—অন্ধকার ভেদ করিয়া গাড়ী ছুটিয়া চলিল, —জানালার পাশে মুখ বাহির করিয়া বসিয়াছিলাম, বাতাস আসিয়া-- উত্তপ্ত ও ক্লান্ত দেহ শীতল করিয়া দিল । আকাশে চিরপরিচিত তারার মালা দীপ্ত হীরার মত জুলিতেছিল-গাড়ীতে বসিয়া বসিয়া কত কথা ভাবিতেছিলাম—তাহার আদি ও শেষ কিছুই ছিল না। ভ্ৰমণ ষে কি সুখের, তাহা যিনি কখনও ঘরের বাহির হ’ন নাই তিনি তাহা বুঝিতে পরিবেন না । কত অনিদ্রা—ক’ত ক্লেশ ভোগ করিতেছি, তবু দৰ্শন-সম্পূহার হ্রাস হইতেছে না । জগদীশ্বরের এমনি অপূৰ্ণ দয়া যে যেখানে যাইতেছি সেখানেই, প্রিয় সুহৃদ জুটিয়া যাইতেছে, সকলেই যেন কত আপনার । প্রভাতের কিঞ্চিৎ পূর্বে, আধ মান আধ্য আলোর মাঝখানে যখন পূর্ব গগনের অর্গল খুলিয়া উষা-সুন্দরী স্বীয় রূপপ্ৰভায়: চতুর্দিক, আলোকিত করিয়া বাহির হইবার উদ্যোগ করিতেছিলেন, আমরা সে সময়ে আসিয়া লক্ষে ষ্টেসনে পহুছিলাম,—তখন লক্ষেীঠংরিতে আমি যেন শুনিতেছিলাম “সহাজাদে আলম তেরা লিয়ে।”