পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gt可5-可可q 1 বেষ্টন করিয়া ধীরে ধীরে দুলিয়া দুলিয়া পুষ্পগুচ্ছ প্রেমোপহার স্বরূপ অৰ্পণ করিতেছে। কোথাও বা- 叠 নির্বারিণী দুষ্ট, মেয়ে কুলু কুলু গেয়ে গেয়ে লুটিয়ে ছুটিয়ে ধায় পাহাড়ের গায় ! তরুশাখে গাহে পাখী, ड्व्ला ८थव्ल शांकि शांकि বনের কুসুম ফুটি বনে ঝরে যায় ! এই জন সঞ্চার শূন্য ভীম পর্বত মধ্যস্থিত গভীর সৌন্দৰ্য্য পাঠক, একবার কল্পনা কর। বিহঙ্গের মধুর কাকলী, নিঝরিণীর অবিরাম ঝাঁঝর শব্দ, বৃক্ষ পত্রের মৰ্ম্মরিত অপূর্ব উচ্ছাস, মরি! মরি! কি সৌন্দৰ্য্যরে! আমরা যখন অঞ্জনা-গুহা দূর হইতে দর্শন করিয়া ফিরিতেছিলাম তখন পশ্চিম গগনাবলম্বী দিনকরের উজ্জ্বল কিরণ দূরস্থিত গিরিগাত্রে ও গিরিশৃঙ্গে পতিত হইয়া একটী সিন্ধোজ্জ্বল মধুর আলোকে চতুর্দিক দীপ্তিমান করিয়া তুলিয়াছিল। কিষ্কিন্ধ্যাতে তেমন দর্শনীয় কিছুই নাই। এখানকার প্রধান দ্রষ্টব্য অঞ্জনা-গুহা ও মানস সরোবর, তাহাদের মধ্যেও সেরূপ কিছু বিশেষত্ব না থাকায় পাঠকগণের সময় নষ্ট করিলাম না। রামায়ণের বর্ণনানুসারে এইখানেই ৰালিরাজের রাজধানী ছিল, শ্ৰীরামচন্দ্ৰ বালিরাজাকে বিনষ্ট করিয়া এই স্থান-সুগ্ৰীবকে প্রদান-কারিয়াছিলেন। বালিরাজার বাড়ীর সিংহ দরজার ভগ্নাবশেষ ও প্রাচীরের বিক্ষিপ্ত প্রস্তর স্তপ এখনও দেখিতে পাওয়া যায়। অঞ্জনা গুহা পৰ্বতের উচ্চ শৃঙ্গে অবস্থিত, সে স্থানে একটা মন্দির দেখিতে, পাইলাম। অত উচু পাহাড়ে উঠা তিন চারি ঘণ্টার কমে অসম্ভব। এরূপ ভয়াবাচ্চ শ্বাপদ-সন্ধুল স্থানে কেহ সহজে যাইতে চাহেনা, কেহ ওখানে আরোহণ করিয়াছেন। কিনা সন্দেহ, স্থানীয় লোকেরাও আমাদিগকে, বারণ করিল। ছোট সুড়ি রাস্তা, চারিদিকে কণ্টকাকীর্ণ, পদে পদে সাপের ভয় বন্য মহিষ এবং বন্য শূকরের সহিত সাক্ষাৎ না করিয়া কোনও পৰ্য্যাটকের ফিরিবার আশা অতি অল্প। আমাদিগকে একটা শূকর আক্রমণ করিয়াছিল, জগদীশ্বরের কৃপায় লক্ষ দিয়া নিকটস্থ W8 ، ..{*. . . . . . . ! ჭ;