পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਵਿਫaਵ পরদিন সন্ধ্যার অব্যবহিত পরে রওয়ানা হইয়া রাত্রি প্রায় এগার ঘটিকার সময় হাসপোট পহুছিয়া বারোটার গাড়ীতে বিজাপুর রওয়ানা হইলাম। সারারাত্ৰি গাড়ী ছুটিয়া চলিল, প্ৰভাতের তরুণ আলোক-রশ্মি বিকশিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে গন্ডাক জংশনে উপনীত হইলাম, এ স্থানটী বাণিজ্য প্রধান, এখানে তুলার কল আছে, তুলার চাষও গডাকে হইয়া থাকে। আমরা সারাদিবস এ স্থানে অবস্থান করিয়া রাত্ৰি সাতটার টেণ ধরিয়া পরদিন প্রত্যুষে প্রায় আট ঘটিকার সময় বিজাপুর পহুছিলাম। বিজাপুর এক সময়ে দাক্ষিণাত্যের অধীশ্বর এবং আদিলসাহি রাজাদের রাজধানীরূপে বিশেষ বিখ্যাত ছিল । ইহা বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর অন্তৰ্গত কলীদগি জেলার প্রধান নগর। বিজাপুর বিজয়পুর শব্দের অপভ্ৰংশ। প্ৰাচীন কালে ইহা হিন্দুদিগের নগর ছিল, কিন্তু বৰ্ত্তমান সময়ে তাহার কোনও চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায় না । এ স্থানের ঐতিহাসিক তথ্য বিশেষ চিন্তাকর্ষক এবং শিক্ষাপ্ৰদ। ফিরিস্তা লিখিয়াছেন যে দ্বিতীয় মুৱাদের शूल ७न्भान डालि श्लडप्नद्ध द्राद्ध বিজাপুরে সর্বপ্রথমে মুসলমান রাজ্য স্থাপিত হয়। ওসমান আলি সুলতানের পুত্র দ্বিতীয় মহম্মদ আতিশয় নির্দয় প্রকৃতির মানুষ ছিলেন, তিনি সিংহাসনে আরোহণ করিয়াই অতি নিষ্ঠর ভাবে তদীয় ভ্ৰাতৃবর্গকে হত্যা করিতে আদেশ প্ৰদান করেন। স্নেহময়ী জননী সন্তানগণের প্রতি এইরূপে নিষ্ঠর ভাবে হত্যার আদেশ শুনিয়া মৰ্ম্মপীড়িত হইয়া পড়েন, কিন্তু তাহার এমন সাধ্য নাই যে ইহার কোনওরূপ ব্যত্যয় করিতে পারেন, তিনি অতি কষ্টে নিজ জীবনকেও বিপন্ন করিয়া সুকৌশলে যুসুফ নামক পুত্রের জীবন রক্ষা করেন। যুলুফ নানা দেশে দেশে ঘুরিয়া অতিশয় কষ্টে স্বকীয় জীবন রক্ষা করিতে সমর্থ হন এবং আহ্মদাবাদ বিদার রাজের অধীনে একটী কাৰ্য গ্ৰহণ করেন। কতিপয় বৎসর অন্তে যখন বিজাপুরের निर्छन्न প্ৰকৃতির নরপতি দ্বিতীয় মহম্মদ মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন, তখন ७याशैन देडिङ्ान ।