পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । নিপুণতার সহিত রাজকাৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা করিয়াছিলেন। ১৬২৬ খ্ৰীষ্টাব্দে ইব্রাহিমের মৃত্যু হইলে মহম্মদ আলি সাহ রাজত্ব গ্ৰহণ করেন। এই শিবাজীর পিতা শাহজী বিজাপুর রাজ্যের অধীনে কাৰ্য্য করিতেন। অগ্নিকপা যেরূপ শতখণ্ড বস্ত্ৰ দ্বারা আবৃত করিলে তাহার দাহিকা শক্তি বিনষ্ট না হইয়া উত্তরোত্তর আরও বৃদ্ধি পাইতে থাকে, তদ্রুপ মহাপ্ৰাণ শিবাজীর অন্তর্নিহিত মানসিক ও শারীরিক শক্তি, শত বাধাবিঘ্ন পাইয়াও অল্প কালের মধ্যেই চতুর্দিকে যশ-প্ৰভা ও বীরত্ব প্ৰকাশ করিয়া দিল। শিবাজী বিজাপুর রাজ্যভাণ্ডারের ব্যয়ে ও তথাকার সৈন্যবৃন্দের সাহায্যে ১৬৪৬-৪৮ খ্ৰীষ্টাব্দের মধ্যে বিজাপুর রাজাধিকৃত বহু দুৰ্গ দখল করিয়া ফেলিলেন। ক্ৰমে তিনি কোঙ্কন প্ৰদেশ পৰ্য্যন্ত অধিকার করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন । একদিকে মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের উপযুপরি আক্রমণ, অন্যদিকে বীরকেশরী মহাপ্ৰাণ শিবাজীর বীরত্ব প্রভাবে মহম্মদ কিংকৰ্ত্তব্য বিমূঢ় হইয়া পড়িলেন । এই সময়ে ঔরঙ্গজেব কোন কাৰ্য্য বশতঃ আগ্রাতে ফিরিয়া যাওয়ায় শিবাজীর প্রভাব দাক্ষিণাত্যে অত্যন্ত বিস্তৃত হইয়া পড়িল । নানাপ্রকার দুশ্চিন্তায় ব্যাধিগ্ৰস্থ হইয়া ১৬৬০ খ্ৰীষ্টাব্দে মহম্মদ মৃত্যুর কবলে পতিত হইয়া” সমুদয় যন্ত্রণার হাত এড়াইলেন। মহম্মদের মৃত্যুর পরে আদিল সহ রাজা হইলেন, কিন্তু তিনি বিজাপুর রাজবংশকে অধঃপতনের পথ হইতে ফিরাইতে পারিলেন না। ১৬৭২ খ্ৰীষ্টাব্দে তদীয় শিশুপুত্ৰ সিকেন্দির আদিল সাহ শেষ রাজত্ব করেন । ১৬৮৬ খ্ৰীষ্টাব্দে ঔরঙ্গজেব কর্তৃক বিজয়পুর অধিকৃত হয়। বহু বর্ষ পৰ্যন্ত যে রাজবংশ স্বকীয় স্বাধীনতা ও গৌরব রক্ষা করিয়া আসিয়াছিল এতদিনে, হায়! এতদিনের পর তাঁহাদের স্বাধীনতাসূৰ্য্য চির অস্তাচলে গমন করিল। ৰিশ্ববিজয়ী মহাকাল এক নবীন দৃশ্যপট উত্তোলন করিয়া প্ৰাচীন পট ক. অন্তরালে রাখিয়া দিল । মোগল রাজবংশের- অধঃপতনের পরে বিজাপুর মহারাষ্ট্রীয়দিগের অধিকারেই ছিল ; কিন্তু ১৮২৮ খ্ৰীষ্টাব্দে শেষ পেশাবারের পদচ্যুতির পরে বিজাপুর ও সাতারা রাজ্য ইংরেজ গভৰ্মেন্টের অধিকার ভুক্ত হয়। বিজাপুরের মুসলমান কীৰ্ত্তি রক্ষার জন্য - ooo !! !! 感 آبی