পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(কিন্তু) বিজাপুরের মহারাণী চাঁদ সুলতানা, রূপে-গুণে সর্বশ্রেষ্ঠ, কারো সাথে হয় না। তুলনা ! রণাঙ্গনে বীৰ্য্য র্যার সদা সুপ্ৰকাশ, গৃহে শান্তি নিজে যেন দয়া-ভরা সুমঙ্গল-ভাষ দীনজনে কতগ্ৰীতি ক্ষীণ প্ৰতি মায়ার বিকাশ বিজাপুরের রাণী সে যে চাঁদ সুলতানা, রূপে-গুণে সর্বশ্রেষ্ঠ কারো সাথে নাহিকো তুলনা ! সরল কোমল হৃদয়-মাধুরী তুলনা নাহিকে যার, কুসুমের মাঝে চম্পক যেন তরুমাঝে সহকার ! একাধারে এতগুণ, কারসাধ্য বৰ্ণিবারে পারে ? দয়াময়ী প্রীতিময়ী জননীর সম স্নেহভরে, অজ্ঞান শৈশবে মোরে পালিলেন যেইজন। বিদেশে বিপাকে রাজ্যের বিপ্লবে আহা ! করিলা রক্ষণ ! সেই দয়াময়ী স্নেহময়ী জননীর পায়, রচিতুচ্ছ স্মৃতিগাথা দ্বিতীয় ইব্রাহিম আমি অর্পিনু তাহায়। বিজাপুর ভীমানদী ও কৃষ্ণানদীর অধিত ক্যার মধ্যে অবস্থিত। রেলগাড়ী হইতেই এ স্থানের অট্টালিকা সমূহের গুম্বজ ইত্যাদি দৃষ্টি পথে পতিত হয় । রাস্তার ধারে বৃক্ষলতা বিহীন তরঙ্গায়িত ময়দানের পর ময়দান ভিন্ন আর কিছুই দৃষ্টিগোচর হয় নাই। বিজাপুরের চতুর্দিকে প্ৰকৃতির রুদ্রমূৰ্ত্তি, বাঙ্গালার শস্য শ্যামল সৌন্দৰ্য এস্থানে বিরল। এই নগরের চতুর্দিকেই প্রস্তর প্রাচীর, ইহার পরিধি ও অনূ্যন প্ৰায় তিন ক্রোশ পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত হইবে। প্রাচীরের চতুর্দিকস্থ সুগভীর প্রশস্ত পরিখা এবং প্রায় একশত বুরুজ দেখিতে পাওয়া যায়। আমরা বিজাপুরে যে সমুদয় স্থান এবং ইমারতাদি দর্শন করিয়াছিলাম। একে একে তাহার উল্লেখ করিলাম। (১) জুম্মা মসজিদ-১৫৩৭ খ্ৰীষ্টাব্দে আলি আদিল সাহ এই মসজিদটি নিৰ্ম্মাণ করিতে আরম্ভ করেন, কিন্তু তিনি ইহা সমাপ্ত করিয়া যাইতে পারেন নাই। বিভিন্ন বিভিন্ন সময়ে সম্রাট ঔরঙ্গজেব ও সাতারার প্রধান নরপতি ইহার অবশিষ্ট কাৰ্য্য সমাপ্তির চেষ্টায় প্ৰবৃত্ত নগরের বর্ণনা । Wett