পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজাপুর। এই প্ৰকাণ্ড তোপাটী মিশ্র ধাতু ৪৫ তামাও ১৫ টিন দ্বারা নিৰ্ম্মিত । ইহা নগরের বাহিরের প্রাচীরে অবস্থিত। ইহার দৈর্ঘ্য ১৪ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং মুখের সর্বাধিক ব্যাস ৫ ফুট ২ ইঞ্চি । একবার প্রাচীন ঢালাইয়ের এই নমুনাটিকে ইংলণ্ডে লইয়া যাইবার প্রস্তাব হইয়াছিল, কিন্তু সৌভাগ্যক্ৰমে স্থানান্তরিত হইয়া ভারতবর্ষ ত্যাগ করে নাই। ইহার হুঙ্কারেই নাকি শত্রুর কাছে ঘেঁসিতে সাহস করিত না । কামানটী এত বৃহৎ যে একজন মনুষ্য ইহার গোলার স্থান অধিকার করতঃ অনায়াসে তাহার খোলের মধ্যে দিয়া বসিয়া যাইতে পারে। এই কামানটা দেখিলে প্রাচীন ভারতবর্ষে যে ঢালাইয়ের কাৰ্য্য কত সুকৌশলে সম্পাদিত হইত। তাহ অনুমান করা যায়। আশ্চৰ্য্যের বিষয় এই যে শত শত বৎসর ইহা বাহিরে পড়িয়া রহিয়াছে তথাপি ইহাতে মরিচা পড়ে নাই। স্থানীয় লোকের বিশ্বাস ইহা অষ্টধাতু নিৰ্ম্মিত । ৪ । মেহতার মহল-ইহার নামোৎপত্তি সম্বন্ধে নানাপ্ৰকার বিভিন্ন মত প্ৰচলিত। ইহার নামোৎপত্তি সম্বন্ধে একটি গল্প এই যে, প্ৰথম DBDBB DDD DB DDDBDB DBBS BBB BB DDD তিনি রোগ হইতে মুক্তিলাভ করিতে না পারিয়া একজন জ্যোতিষকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে কিরূপে এই রোগ হইতে র্তাহার আরোগ্যলাভ করা সম্ভব ? গণৎকার তাহাকে পরামর্শ দিল যে মহারাজ আপনি কল্য প্রত্যুষে গাত্ৰোথান করিয়া যাহাকে দর্শন করিবেন তাহাকে বহু ধন রত্ন দান করিলেই রোগ হইতে মুক্ত হইবেন। সে রজনীতে ইব্রাহিম বাদসাহের আর ভাল করিয়া নিদ্রা হইল না ; তিনি প্ৰত্যুষে গাত্ৰোত্থান করিয়া একজন মেথরকে দেখিতে পাইলেন, তিনি সেই মেথরকেই গণৎকারের উপদেশানুযায়ী বহু ধন, রত্ন প্ৰদান করিলেন। মেথর এইরূপ স্বপ্নাতীত ঘটনায় বিস্মিত হইয়া গেল, জগদীশ্বর যে আজ কোন কৃপাবলে সহসা এইরূপ অপ্রত্যাশিত ভাবে মুখ তুলিয়া চাহিলেন তাহা সে ভাবিয়া ঠিক করিতে পারিল না। তাহার হৃদয় অনন্ত মহিমাময় পরমেশ্বরের অনির্বচনীয় করুণায়, কৃতজ্ঞতা ভরে দ্রবীভূত হইয়া গেল, সে তাহার প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা এই মহল নিৰ্ম্মাণ করিল, ইহা একটী মসজিদের প্রবেশের দ্বার। কাহারও কাহারও মতে ইহা Ved