পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । ফকীর দলের মেহতার অর্থাৎ প্রধান কর্তৃক নিৰ্ম্মিত বলিয়া ইহার নাম মেহতার মহল হইয়াছে । ইহার কারুকাৰ্য্য পরম রমণীয়। মেহতর মহলের দ্বিতলের ছাদ প্ৰস্তর-বিনিৰ্ম্মিত । .এই প্ৰাসাদের কড়িকাঠগুলি যে কিসের অবলম্বনে রহিয়াছে, তাহা ইংরেজ ইঞ্জিনিয়ারগণও নির্ণয় করিতে পারেন নাই । ইহার কারুকাৰ্য্য যিনি দর্শন করিয়াছেন, তিনিই বিস্ময়ে বিমুগ্ধ হইয়াছেন । সুবিখ্যাত পুরাতত্ত্ববিদ ফাগুসন সাহেবের মতে ইহা মিশরের কায়রো নগরীর যে কোন বাড়ীর সহিত তুলিত করা যাইতে পারে। প্ৰাচীন ভারতের ও মুসলমান শিল্পিগণের ইহা চিরগৌরবময় কীৰ্ত্তি স্তম্ভ। . ཤ༥. ৫। ইব্রাহিম রোজা--এই প্রাসাসটা বোল গুম্বজের পরেই উল্লেখ যোগ্য। ইহাতে ইব্রাহিম বাদাসাহের গোর ও মসজিদ স্থাপিত। দূর হইতে ইহার মসজিদ, গোর, মিণার ও উদ্যান বড়ই সুন্দর দেখায়। এতদ্ব্যতীত আর্ককেল্লা, আনন্দ মহল, গগন মহল, সাত মজলী, আলিরোজ, সুলতান সেকেন্দরের গোর, ঔরঙ্গজেবের মহিষীর সমাধি, মক্কা মসজিদ ইত্যাদি বহু দর্শনীয় স্থান আছে, সে সকলের বিস্তৃত বর্ণনা প্ৰদান করিতে হইলে একখানা স্বতন্ত্র গ্রন্থ লেখার প্রয়োজন হয় আমরা এ স্থানে পাঠকবর্গের অবগতির জন্য সংক্ষেপে তাহদের বিবরণ লিপিবদ্ধ করিলাম ।

  • ৬। আর্ককেল্লা—বিজাপুর নগরের মধ্যস্থল দিয়া যে পথ গিয়াছে, সেই বৃক্ষচ্ছায়া সমাকীর্ণ পথ বাহিয়া অগ্রসর হইলেই আর্ককেল্লায় পহুছা যায় । ইহা একটা গোলাকৃতি স্থান, বেষ্টন প্রায় এক মাইল হইবে। এ স্থানে বর্তমান সময় উচ্চ পদস্থ ইংরেজ রাজকৰ্ম্মচারীদের বাসস্থান এবং গভর্মেণ্টের কাৰ্য্যালয় প্রভৃতি অট্টালিকা সমূহ স্থাপিত। এই কেল্লার মধ্যে বিজাপুরের প্রাচীন স্মৃতি পরিপূর্ণ কীৰ্ত্তিময় “সাতমজলী,” “আনন্দমহ’ল” “গগন মহাল” ইত্যাদি প্ৰাসাদ সমূহ বিরাজিত। এ স্থানে আসিলে প্রাচীনের স্মৃতি মনে হইয়া হৃদয় বিষাদে আচ্ছন্ন হয় । ', ' ' : ; ফুসফ আদিলসাহ এই দুৰ্গ নিৰ্ম্মাণ করিতে আরম্ভ করেন এবং ইব্রাহিম আদিলসার- রাজত্ব সময়ে ইহার, নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্য শেষ হয়। এই দুর্গের মধ্যে কতকগুলি প্ৰাচীন হিন্দু-মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দর্শন করিলাম, একটি মন্দির এখনও আপনাকে কালের দুৰ্দমনীয় আক্রমণ হইতে রক্ষা

in 帧 * Noგჯებზე, 苹1 ' . . " . . - , '. - * ፭ዃ