পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষেী । ক্রনক্ষ্মৌ সহর দেখিবার জন্য অনেক দিন হইতেই আমার হৃদয় উৎসুক ছিল, কাজেই যে মুহূৰ্ত্তে গাড়ী হইতে স্টেসনে অবতরণ করিলাম, , তখন হৃদয়ে যে কি এক অপূৰ্ব আনন্দের উদ্রেক হইয়াছিল, তাহা । পাঠকগণকে বলিয়া বুঝাইতে পারিব না। প্রথম দৃষ্টিতে লক্ষ্মেীর বহিদৃশ্য । আরব্য-রজনীর কোনও অলৌকিক নগরের চিত্রের ন্যায় প্রতিভাত হইয়াছিল। ধীরে ধীরে অশ্ব-শকটে নগরের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলাম, । পথের দুই ধারে ফুল ফলের ছোট ছোট সুন্দর সুন্দর বাগান। ক্রমে সহরের দক্ষিণ প্ৰান্তস্থিত পরিখার সেতু উত্তীর্ণ হইয়া, ফতেদাস বাবাজীর আশ্রমে আশ্রয় গ্ৰহণ করিলাম । । লক্ষ্মেী কলিকাতা হইতে ৬১০ মাইল দূরে অবস্থিত, ইহা অতি প্রাচীন | সহর। নিৰ্ম্মল-সলিলা গোমতী নদী নগরের পদধৌত করিয়া প্ৰবাহিতা । এই নগরের লোকসংখ্যা সর্বশুদ্ধ প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার। ভারতবর্ষের নগর সমূহের মধ্যে ইহা চতুর্থ । স্থানীয়, কলিকাতা, বোম্বাই, মান্দ্ৰাজ প্ৰভৃতির পরেই ইহার সৌন্দৰ্য্য ও বৈভব-খ্যাতি । গোমতী নদীর উভয় তীরে নানাবিধ সৌধমালা বিরাজিত । থাকায় লক্ষ্মৌর সৌন্দৰ্য্য মনোহারিণী। মুসলমান রাজত্বের সময় ইহা উত্তর পশ্চিমের রাজধানীরূপে পরিগণিত হইয়াছিল, ইংরেজ রাজত্বেও | আফিস আদালতাদি সমুদয় এখানে থাকায় ইহার পূর্ব গৌরব কোন | অংশেই হ্রাস হয় নাই। লক্ষ্মৌর নামোৎপত্তি সম্বন্ধে এইরূপ শুনিতে । পাওয়া যায় যে, রঘু-কুল-তিলক শ্ৰীরামচন্দ্র রাবণকে বধ করিয়া । অযোধ্যায় প্রত্যাবৰ্ত্তনানন্তর ভ্রাতৃবৎসল লক্ষণকে এ প্রদেশের শাসন-ভার – অর্পণ করিয়াছিলেন। লক্ষণ গোমতীর তটবর্তী এই সুরম্য প্রদেশকে • মনোনীত করিয়া এস্থানে স্বীয় বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করিলেন ও নিজ নামানুসারে । ইহার নাম লক্ষণপুর রাখিলেন, কালক্রমে লক্ষণপুরই অপভ্রংশ হইয়া । লক্ষ্মৌতে পরিণত হইয়াছে। লক্ষ্মেী পূর্বে দিল্লীর মোগল সম্রাষ্ট্রের অধীন। ছিল। মোগল সম্রাট মহন্ধদসাহের শাসন-কালে সদৎখা নামক জনৈক । ॐथांौन शैउिछ्ग्न ।