পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । এই সৌধের এক একটী তালা ভিন্ন ভিন্ন বিদ্যা অভ্যাসের জন্য ব্যবহৃত হইত। এখন তাহ গুদামরূপে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে। মুসী নদীর অপর তীরে উত্তরাংশে ব্রিটিশ রেসিডেণ্ট সাহেব বাস করেন। নিজমের প্রাসাদ হইতে রেসিডেণ্টের প্রাসাদে সর্বদা যাতায়াতের সুবিধার জন্য একটা সুরম্য সুগঠিত সেতু বিদ্যমান আছে। নিজামের বাৰ্ত্তমান মন্ত্রী বার-দোয়ারিতে বাস করিয়া থাকেন । এ স্থানের ‘বেগম-বাজার’ ও দ্রষ্টব্য। রেসিডেণ্টের প্রাসাদটী ভারতীয় স্থাপত্য-শিল্পের অপূৰ্ণ নিদর্শন, কারুকাৰ্য্যে অতুলনীয়। Encyclopoedia Britanicat o gè 2ţii **Coi fafie ele C. “The residency is a very handsome building, and is remarkable às having been raised entirely by native workmen. It stands in ornamental pleasure grounds enclosed by a wall with two gateways. The staircase is the handsomest in India, each step being a single block of the finest granite.' বিক্রমপুরবাসী বিলাত ফেরত ডাক্তার শ্ৰীযুক্ত অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় এখানে একজন খ্যাতনামা ব্যক্তি। এই প্ৰবাসী বাঙ্গালী মহোদয় আমাদের এ স্থানে অবস্থানের এবং দর্শনীয় দ্রব্যাদি দর্শন সম্পর্কে বিশেষ সহায়তা করিয়াছিলেন । ইহার দুইটী কন্যাই সুশিক্ষিতা, জ্যেষ্ঠ শ্ৰীমতী সরোজিনী নাইডুর নাম শিক্ষিত ভারতবাসী মাত্রেরই সুপরিচিত। ইনি সুলেখিকা ও সুবক্তা । বিগত কংগ্ৰেসোপলক্ষে যখন কলিকাতা আসিয়াছিলেন, সে সময়ে বেথুন কলেজ গৃহে যে মহিলা সভা হইয়াছিল, তাহাতে ইনি বক্তৃতা করিয়া সকলকে মুগ্ধ করিয়াছিলেন, সাধারণ ব্ৰাহ্ম সমাজে ও ইহার বক্তৃত হইয়াছিল। আমরা চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের সদাশয়তার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞ । ১৫৮৯ খ্ৰীষ্টাব্দে গোলকুণ্ডার মুসলমান বংশের আদিপুরুষ সুলতান কুলী কুতবা শাহের অধস্তন পঞ্চম পুরুষ কুতবা শাহ মহম্মদ কুলী নামৰ উৎপত্তির এই নগর নিৰ্ম্মাণ করেন। তিনি নগর স্থাপনান্তে গোলবিবরণ। কুণ্ড হইতে রাজধানী পরিবর্তন করিয়া এই স্থানে রাজধানী স্থাপন করেন। সে সময়ে এই নগর তদীয় সহধৰ্ম্মিণী ভাগামতীর নামানুসারে ভাগনগর নামে পরিচিত ছিল, “পরে হায়দারের নামানুযায়ী হাইদ্রাবাদ