পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o©ቐቑRö-ûቔሳ 1 ংসারে জীবন ধারণ করিব ?” বৃদ্ধের এই মৰ্ম্মস্পর্শী কাতরোক্তিতে দয়াবতী অহল্যার করুণ-হৃদয় ব্যথিত হইল, সেজন্যই তিনি চিন্তারোহণের সঙ্কল্প পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । মলহর রাওয়ের মৃত্যুর পরে খণ্ডে রাওয়ের শিশু পুত্ৰ মালেরাও সিংহাসনারোহণ করিলেন। মালেরাও অতিশয় নির্দয় প্রকৃতির মনুষ্য ছিলেন, রাজ্ঞী অহল্যা ইহার পাশবাচরণের জন্য সর্বদাই ব্যথিত থাকিতেন, ব্ৰাহ্মণ ও সাধু সন্ন্যাসীদিগকে নানারূপে নিৰ্য্যাতন করিয়া তাহার আনন্দের সীমা থাকিত না। রাজ্ঞী অহল্যা পুত্র কর্তৃক উৎপীড়িত ব্যক্তিদিগকে উপযুক্তরূপ পুরস্কারাদিন্দানে এবং স্নেহের বচনে সাত্মনা প্রদানের চেষ্টা করিতেন। সৌভাগ্যক্রমে এই পশু প্ৰকৃতির নরপতি সিংহাসনাভিষিক্ত হইয়া কেবল নয় মাস কাল জীবিত ছিলেন। পুত্রের মৃত্যুর পরে অহল্যাবাই স্বয়ং রাজকাৰ্য্য-পৰ্য্যালোচনা করিতেন। এরূপ প্ৰতিভাশালিনী রমণী এবং আদর্শ সাম্রাজ্ঞী পৃথিবীতে অতি অল্পই দেখা যায়। ইনি একদিকে যেমন বলিষ্ঠ দেহা বীর-রমণী ছিলেন, অন্যদিকে আবার তেমনি ধৰ্ম্ম পরায়ণ ও রাজনীতি প্ৰয়োগে সুদক্ষ ছিলেন । তিনি সুপবিত্ৰ ব্ৰাহ্ম মুহূৰ্ত্তে গাত্ৰোত্থান করিয়া প্ৰাতঃকৃত্য ও স্নানের পর পূজা আহ্নিকাদি করিয়া কিয়ৎকাল ধৰ্ম্মগ্রন্থ পাঠ করতঃ ব্ৰাহ্মণ ভোজন করাইতেন, ব্ৰাহ্মণের আহারাদি করিয়া দক্ষিণা গ্ৰহণ পূর্বক গৃহে গমন করিলে পর তিনি স্বয়ং আহাৰ্য্য গ্ৰহণ করিতেন । আহারান্তে কিয়াৎকাল বিশ্রামের পর রাজ্যোচিত বেশভূষা পরিধান পূর্বক দরবারে গমন করিয়া সন্ধ্যা পৰ্য্যন্ত রাজকাৰ্য্যাদি করণান্তর পুনরায় সাংয়কৃত্য ও জলযোগ করিয়া রাত্রি দেড় প্রহরী পৰ্য্যন্ত রাজকাৰ্য্য সম্পাদনা করিতেন । রাজ্যের ও প্ৰজাগণের মঙ্গল ও শান্তি সুখের নিমিত্ত ইহার প্রত্যেক বিষয়েই সুতীক্ষ দৃষ্টি ছিল। তঁহার শাসন সময়ে প্রকৃতি-পুঞ্জ সর্ববিধ সুখ ও সমৃদ্ধি ভোগ করিয়াছিল। এই বীৰ্য্যবতী ও গুণবতী মহিলার মহাচ্চরিত্র প্রত্যেকেরই সবিশেষ আলোচনার যোগ্য । ইহার ন্যায় ধৈৰ্য্যবতী ও কৰ্ম্মনিষ্ঠ রমণীও জগতে অতি বিরল। অহল্যার জীবনের পবিত্রকাহিনী ভারত-ললনা-কুলের গৌরব-কিরীট-মণি। ইনি কাহারও অন্যায় প্রশংসা শুনিতে পারিতেন না, একবার একজন ব্ৰাহ্মণ অহল্যার দয়ালাভ করিবার জন্য অহল্যার গৌরৰবাণী পূর্ণ একখানা ৬৭৬. "