পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দোর । করিতেন। এই মহাত্মার মৃত্যুর পরে ১৯০ : গ্ৰীষ্টাব্দের ৩১শে জানুয়ারী যুবরাজ বালাসাহেবকে গাদী প্ৰদান করেন তিনি মহারাজা তুকাজীরাও হোলকার নাম গ্রহণপূর্বক সিংহাসনারোহণ করিয়াছেন, বৰ্ত্তমান সময়ে ইহার বয়স অষ্টাদশ বৎসরের বেশী হইবে না, ইনি এখনও ইন্দোর রাজকুমার কলেজে শিক্ষালাভ করিতেছেন। পরদিন সন্ধ্যার সময় ইন্দোর হইতে উজ্জয়িনী রওয়ান হইলাম। অন্ধকার ভেদ করিয়া বাষ্পীয় শকট দ্রুতবেগে চলিতে লাগিল । রজনী অন্ধকারময়ী, অতি ক্ষীণ আলোকে রেলপথের উভয় পার্শ্বস্থ নিবিড় অরণ্য ও দূরস্থিত গিরিশ্ৰেণী নয়ন-গোচর হইতে লাগিল। ষ্টেসনের পর ষ্টেসন। ধীরে ধীরে অতিক্ৰম করিতে লাগিলাম। শরদের নিৰ্ম্মল গগনে অসংখ্য তারকারাজি নৈশ-সুন্দরীর নীল কেশে অনন্ত রত্নরাজির ন্যায় শোভা পাইতেছিল। ক্রমশঃ রাত্রি অধিক হইতে লাগিল, আমাদের পাশের গাড়ীতে একটা হিন্দুস্থানী তন্দ্ৰালস কণ্ঠে গাহিতে ছিল,— “ক্যায়সে কাটোঙ্গি রয়না, সে পিয়া বিনা ৷ একেলি জাগি স্বজনি আজু মারি মা, নয়নামে নিদনা আওয়ে চড়ি সেঁইয়া ।” । তাহার এই বিরহ-সঙ্গীতে কাহারও হৃদয় মাঝে বিরহের হা-হতাশ জাগিয়া উঠিয়াছিল কি না জানি না ! তবে আমাদিগকে নিদ্রার তাড়নায় বড়ই ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়িতে হইয়াছিল, কিয়ণ্ড কাল পরে নিদ্রাদেবী আমাদিগকে র্তাহার স্নেহ-কোমল অঙ্কে টানিয়া লইলেন। পথে ফতেয়াবাদ ষ্টেসনে গাড়ী পরিবর্তন করিয়া অতি প্ৰত্যুষে উজ্জয়িনীতে উপনীত হইলাম। তখনও নৈশান্ধকার একেবারে দূরীভূত হয় নাই, তখনও উষার রক্তিম-রশ্মি পূর্ব গগনে ভাল করিয়া ফুটিয়া ওঠে নাই, তখনও বিহগগুলি একেবারে কুলায় পরিত্যাগ করে নাই। প্ৰভাতীয় মৃদুমন্দ সমীরণ সেবনে সমুদয় ক্লান্তি অপস্থত হইল। দূর হইতেই সৌধমালিনী নগরীর নানাবিধ মঠ ও গগনস্পর্শী উচ্চ চূড়াবিশিষ্ট দেবমন্দিরগুলির শ্বেতচ্ছবি আমাদিগের হৃদয়ের উপরে একটা আষাচিত আধিপত্য বিস্তার করিয়া দিল। আমরা নবরাবির কনক কিরণ-রেখারঞ্জিত হসিত সৌন্দৰ্য্য দেখিতে দেখিতে নগরে প্রবেশ করিলাম। : छैङञ्जब्रिनौ शजिा । w9s