পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ। বিষয় বিশেষ ভাবে বর্ণিত আছে। ইহা একটী বিখ্যাত পীঠস্থান। এই সুবৃহৎ দেবালয় রক্ষার জন্য এবং ইহার সেবার্থ অনেক রাজা মহারাজা মাসিক বৃত্তি নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছেন, তন্মধ্যে গোয়ালিয়রের-মহারাজসিন্ধিয়া মাসিক ৩০.৫১ বরোদার মহারাজা গাইক্টোয়ার মাসিক, ১২০২ ইন্দোরের মহারাজা হোলকার মাসিক ৬০২ দেবাসের প্রমর ভূপতিগণ ৫০২৷৷৬০২ প্ৰদান করিয়া থাকেন। ‘ফিরিস্তায় লিখিত আছে যে “ এই মন্দির সোমনাথ মন্দিরের সমতুল্য। ইহার বৃহৎ স্বৰ্ণস্তম্ভ সমূহ মণিমাণিক্য খচিত ছিল। গৰ্ভ-গৃহ মধ্যে একটী সামান্য আলোক জ্বালাইয়া দিলে সেই আলোক অসামান্য হীরকে প্ৰতিফলিত হইয়া সমস্ত মন্দির উজ্জ্বল করিয়া ফেলিত। আলতমােস মন্দিরের সমুদয় মণি, মাণিক্য রত্নাদি লুণ্ঠন করিয়া লইয়া গিয়া মন্দিরের বিস্তর ক্ষতি করিয়াছে। সে সময়ে মন্দিরের পাণ্ডারা বহু যত্নে লিঙ্গমুৰ্ত্তিকে স্থানান্তরিত করিয়া অতি গুপ্তভাবে রক্ষণ করিয়াছিলেন। শত বৎসর পূর্বে রামচন্দ্ৰ বসু নামক এক ব্যক্তি মন্দিরের পুনঃ সংস্কার কাৰ্য্য সম্পন্ন করাইয়াছিলেন। এখনও বহু দূর হইতেই মন্দির চূড়াস্থ সুবৰ্ণ কলস যাত্ৰিগণের হৃদয়ে এক অভূতপূর্ব আনন্দের ও উৎসাহের সঞ্চার করিয়া দেয়। ] মহাকাল এই বৃহৎ মন্দিরে বাস করেন না মন্দিরের সন্নিকটে দক্ষিণদিকে একটী ক্ষুদ্র দরোজা আছে, সেই দ্বার দিয়া একটি সুরঙ্গে প্ৰবেশ করণান্তর পাষাণময় সোপানপথে কিয়দার অগ্রসর হইলেই একটা কৃষ্ণ প্রস্তর নিৰ্ম্মিত মন্দির দৃষ্টিপথে পতিত হয়, এই মন্দির মধ্যে প্ৰকাণ্ড শিবলিঙ্গ বিরাজমান। লিঙ্গের চারিদিকে স্বতের প্রদীপ দাপ্ত দপ্ত করিয়া জলিতেছে, যদি এ সমুদয় দীপ এ স্থানে না থাকিত, তবে প্রখর দিবা.ে এই স্থানে সূচিভেদ্য গাঢ় অন্ধকারে সমাচ্ছন্ন হইত। এ স্থানে বাতাস প্রবেশের সেরূপ সুপ্ৰশস্ত পথ না থাকায় এবং প্রতিনিয়ত জন-স্রোতে আবৃত থাকায় নিশ্বাস বন্ধ হইয়া আসিবার উপক্রম হইতেছিল, বহু স্ত্রী পুরুষ শিবাৰ্চিনায় নিরত ছিলেন, ভক্তবৃন্দের ঘন ঘন সমবেত কণ্ঠে বাম বম ধ্বনি বজ নির্ঘোষের ন্যায় প্রতীয়মান হইতেছিল। আমরা পূজা ইত্যাদি সমাপনান্তে বহু কষ্ট ও ক্রস্ততার সহিত উপরে উঠিয়া আলো ও বাতাসের মুখ দেখিয়া মন্দিরের 夺叫目