পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ অভিহিত করিয়া পূজা করিতে লাগিল। কালক্রমে মানবের কলুষ রাশিতে যখন পৃথিবী কলঙ্কিত হইল, তখন দেবাদিদেৰ অন্তহিত হইলেন। , একদিন কয়েকজন মহর্ষি কেদারেশ্বর দর্শনার্থ হিমাদ্রি শেখরে আরোহণ করেন, কিন্তু তঁাহারা তথায় কেদারেশ্বরকে দেখিতে না পাইয়া নিতান্ত মনের দুঃখে তাহার দর্শনাভিলাষী হইয়া ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন, তখন সহসা দৈববাণী হইল যে “মহাকালের বনে যাও, শিপ্রা নদীর উপর আমাকে দর্শন পাইবে ।” । ঋষিগণ মনের আনন্দে দেবাদিদেবের মহিমা কীৰ্ত্তন করিতে করিতে উজ্জয়িনীতে আগমন করিলেন এবং প্ৰেমাকুল চিত্তে স্তব করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। দেখিতে দেখিতে স্রোতস্বিনীর বক্ষে একটী শিলা ভাসিয়া উঠিল, ঋষিগণ র্তাহাকেই কেদারেশ্বর বলিয়া সাদরে গ্ৰহণ করিলেন । কুরুক্ষেত্ৰ যুদ্ধে উজ্জয়িনীতেও পাপস্পর্শ করায় পুনরায় কেদারেশ্বর সে স্থান হইতে অন্তহিত হইলেন । r মহাবলী বৃকোদার ঋষিগণের সহিত পুনরায় কেদারেশ্বরকে পাওয়ার পরামর্শ করিতে লাগিলেন। একজন ঋষি ভীমকে পা ফাঁক করিয়া দাড়াইতে বলিলেন এবং রাজ্যের সমস্ত বৃষ তাহার নীচ দিয়া যাইবার আদেশ করিলেন, একে একে সমুদয় বৃষই চলিয়া গেল কেবল একটা বৃষ কিছুতেই গেলনা, ভীম তাহাকে ধৃত করিবার জন্য অগ্রসর হওয়া মাত্ৰই বৃষরূপী কেদারেশ্বর পুনরায় ভূমি মধ্যে অন্তহিত হইলেন। কিয়ৎকাল পরে কেদারেশ্বর পুনর্বার হিমালয়ে আবিভূতি হইলেন, তঁাহার মস্তক व्लि এবং দেহ উজ্জয়িনীতে রহিল। আবার এরূপ কিংবদন্তীও শুনিতে পাওয়া যায় যে কুরু-পাণ্ডবের যুদ্ধ কালে উজ্জয়িনীতে এই শিবলিঙ্গ আবিভূতি এই নগরীতে বহু ভৈরব মূৰ্ত্তি ও ভৈরব মন্দির আছে। শিপ্রা নদীর দক্ষিণতটস্থ ভৈরব গড় দর্শনীয়। ইহার আকার অশ্বখুরের ন্যায়। শিপ্রাতীরে ইহা প্ৰায় এক মাইল পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত, গড়ের প্রাচীর এবং কতকগুলি প্ৰাচীন দ্বার দিয়া এই গড়ে প্রবেশ করিলে দক্ষিণদিকে একটী সুবৃহৎ দেবালয় দৃষ্ট হয়, দৃষ্টিপথে পতিত এই দে বালয়ের নাম কালভৈরবের মন্দির।