পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই মূৰ্ত্তি বহুকালের প্রাচীন বলিয়াই অনুমান হয়। স্থানীয় লোকেরা বলিয়া থাকে যে কালভৈরব উজ্জয়িনী নগরীকে রক্ষা করিয়া অসিতেছেন। এই মন্দির মধুজী সিন্ধিয়া কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। উজ্জয়ি- ] नौन कांठौश ौिौ (काठौद्मनी) अदशु) लचेला। এ স্থানের মনোরম দৃশ্য চিত্ত-মুগ্ধকর। কালীয় দীঘী যাইবার পথও আমাদিগের নিকট অতি সুন্দর বোধ হইয়াছিল। মাঠের মধ্য দিয়া পথ । শরৎকাল, বিশেষ এসব অঞ্চলে শীতাধিক্য, কাজেই সূৰ্য্যের কিরণ তত প্রখর বোধ হইতেছিল না । মৃদু মন্দ সমীরণ প্ৰবাহিত হইয়া আমাদের শ্রম-কাতর দেহে সজীবতা ঢালিয়া দিতেছিল। কোথাও বা গো-মহিষাদি পশুগণ বিচরণ করিতেছিল, কোথাও বা মাঠের কিনারায় বসিয়া বাল্যকালের স্বভাব-জাত চঞ্চলতার উচ্ছাসে চাষার ছেলেরা “কনহাইয়া লাল হো, কনহাইয়া লালা’ রবে অতীতের কোন এক দুষ্ট-গোয়ালার ছেলের নামোল্লেখ করিয়া মধ্যাহ্নের রৌদ্রের মধ্যে নিজেদের তৈরী সুরে গলা সাধিতেছিল । চারিদিকের একটা প্ৰসন্ন মধুরতার তৃপ্তি ও শান্তি অনুভব করিতে করিতে আমরা কালীয় দীর্ঘীতে। পহুছিলাম। বৃন্দাবনে যেরূপ কালীয়দহে শ্ৰীকৃষ্ণরূপ বিরাজিত আছে, এখানেও তদ্রুপ দেবমূৰ্ত্তি দৃষ্ট হয়। কালীয় দীবীর মধ্যস্থলে দ্বীপাকার ভূমিখণ্ডের উপর একটী জল প্ৰাসাদ অবস্থিত । দীর্ঘীর কালো জলে এই প্ৰাসাদের ছায়া প্ৰতিবিম্বিত হইয়া ছোট ছোট বীচিমালার সহিত ধীরে ধীরে দুলিতেছিল,—সে দৃশ্য বড়ই সুন্দর। মুসলমান ঐতিহাসিকগণের মতে এই জল-প্রাসাদটি নাসির-উদ্দীন কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, কিন্তু ইহা দৃষ্টে অত্যন্ত প্ৰাচীন বলিয়া বোধ হয়। জল-প্রাসাদে যাতায়াতের জন্য সেতু আছে। কাহারও কাহারও মতে মহারাজা বিক্ৰমাদিত্য গ্ৰীষ্মকালে যে জল-প্রাসাদে বাস করিতেন ইহা তাহাই ; আমাদেরও বিশ্বাস এই প্রাসাদ মহারাজা বিক্ৰমাদিত্যেরই নিৰ্ম্মিত ; মহাকবি কালিদাসের ‘ঋতুসংহার' কাব্যেও ইহার উল্লেখ দেখা যায়, যথা - . . . “নিশাঃ শশাঙ্ক-ক্ষতিনীল রাজয়ঃ | কচিদ বিচিত্ৰং জিল यक्ष-भन्निब्रर् । কালীয় দীঘী ।