পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ। ধ , উজ্জয়িনী নগরে প্রত্নতত্ত্ববিদগণের দর্শনোপযোগী বহু দ্রব্য আছে। এখােন হইতেই প্ৰাচীন গ্ৰীক, বাহিলক, শক এবং দেশীয় হিন্দু-নরপতিগণের সময়ের প্রচলিত বহু প্ৰাচীন মুদ্রা পাওয়া গিয়াছে। প্রাচীন উজ্জয়িনী যে বন মধ্যে প্রোথিত হইয়া গিয়াছে, সেস্থান খুঁড়িতে খুড়িতে বহু পাথর, হীরা, জহরৎ, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, এমন কি সেকালের স্ত্রীলোকের ব্যবহৃত অলঙ্কার পর্য্যন্ত পাওয়া গিয়াছে, এজন্যই বোধ হয়। এ স্থানের নাম “রোজগারক সদাব্ৰত” হইয়াছে । এ নগরে জৈনদিগেরও কতকগুলি মঠ আছে, তন্মধ্যে শ্বেতাম্বরীদের দশট ও দিগম্বরীদের আটটীি । কতকগুলি জৈন মঠ আবার হিন্দুদিগের হইয়া গিয়াছে, তাহার মধ্যে জাবরেশ্বর ও জৈন ভঞ্জনীশ্বরই উল্লেখ যোগ্য। - উজ্জয়িনীতে একটী অতি সুন্দর দৃশ্য দেখিলাম। প্ৰায় প্রতি বৃক্ষের তলেই ‘সতী স্তম্ভ' দেখিতে পাওয়া যায়, পুণ্যভূমি ভারতবর্ষে সতীর যে কত আদর, কত সম্মান ও শ্রদ্ধা ছিল, এ সমুদয় প্রস্তর খণ্ড দেখিলেই তাহা অনুভব করা যায়। ব্ৰাহ্মণ ও ক্ষত্ৰিয়াদি বর্ণক্রমে এই প্ৰস্তর সকলে স্ত্রী পুরুষ মূৰ্ত্তি খোদিত আছে। ব্ৰাহ্মণ জাতির পরিচয়ের জন্য গো, ক্ষত্ৰিয়ের পরিচয়ের জন্য অশ্ব প্রভৃতিও ঐ সঙ্গে অঙ্কিত দেখিলাম। স্থানীয় ধৰ্ম্মশীলা রমণীগণ আগ্রহ ও শ্রদ্ধার সহিত স্নানান্তে পুষ্প চন্দনাদি দ্বারা এ সকল সতী-স্তস্তের অৰ্চনা করিয়া থাকেন । সন্ধ্যার সময়ে মহাকালের আরতি দর্শনে গমন করিলাম। দেখিলাম রাজপথে বেশভূষায় সুসজ্জিত হইয়া বহু নির নারী আরতি দর্শনার্থ গমন করিতেছে, তাহাদের প্রত্যেকের মুখে এক অপূর্ব আনন্দের ও উৎসাহের ভাব পরিলক্ষিত হইতেছিল। আমরা যখন মন্দিরে উপনীত হইলাম, তখন আরতি আরম্ভ হইয়া গিয়াছে, চারিদিক প্ৰতিধ্বনিত করিয়া বাদ্যধ্বনি উখিত হইতেছে। ভয়ানক জনতা ! ভক্তবৃন্দের বম্ বম রবে ও সুমধুর স্তোত্র ধ্বনিতে যে কি এক প্রাণারাম পবিত্র ভাবের উদয় হইয়াছিল, তাহা ভাষায় । প্ৰকাশ করা অসম্ভব। মহাকালের মন্দিরন্থ প্ৰদীপগুলির বৰ্ত্তিকা অগুরু চন্দন, স্বত, কপূর প্রভৃতিতে রচিত হওয়ায় এবং ধূপ ধূনার সৌগন্ধে কক্ষটীি বোধ 阿 - . '• | | , 1ኛ ” : . . ' ',. ما - gr